কুমিল্লায় ১৮টি মডেল মসজিদ নির্মাণে ধীরগতি

# সাত উপজেলায় জমি অধিগ্রহণ হয়নি, ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ

# কাজ এগিয়েছে দাউদকান্দি ও চান্দিনা

 

আবু সুফিয়ান রাসেল।।
কুমিল্লার ১৮টি মডেল মসজিদের কাজ চলছে ধীর গতিতে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও সাত উপজেলায় মসজিদের জমি নির্বাচন করা হয়নি। চান্দিনায় প্রথম তলা ও দাউদকান্দি মডেল মসজিদের দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ হয়েছে। কাজের ধীরগতি সম্পর্কে গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

ইসলামী ফাউন্ডেশনের সূত্রমতে, ২০১৪ সালের বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অংশ এ মডেল মসজিদ। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার ১৮টিসহ দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নিমার্ণের ঘোষণা দেয় সরকার। ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প’ শিরোনামে এ কাজে জেলা শহরে লিফট এসিসহ চার তলা, উপজেলা শহরে তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ হবে। যার মধ্যে জেলায় ১২শ’ ও উপজেলায় ৮শ মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও নারী-পুরুষের পৃথক অজু ও নামাজের স্থান, পাঠাগার, গবেষণা কেন্দ্র, হজ্ব যাত্রীদের নিবন্ধন, পর্যটকদের আবাসন ব্যবস্থা, দাওয়াতি কার্যক্রম, হিফজ মাদ্রাসা, মক্তব, মৃত ব্যক্তির গোসলের ব্যবস্থা, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসন প্রকল্পসহ বহুমুখী ইসলামি কার্যক্রম ও সেবার কথা বলা আছে।

বিজ্ঞাপন

যা এপ্রিল ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ হিসাবে কুমিল্লা জেলার ১৮টি মসজিদের কাজে তেমন অগ্রগতি নেই।
এ প্রকল্প বিষয়ে ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক মো. হেদায়েতুল্লাহ জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ প্রকল্প শতাব্দীর পর শতাব্দী ইসলামী তাহজিব-তামাদ্দুন চর্চায় ভূমিকা রাখবে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আশা করি তরুণ প্রজন্ম, এ প্রজন্মের লেখকসহ মুসলিম মিল্লাত উপকৃত হবে। একই সাথে যথা সময়ে কাজটি শেষ করলে মুসল্লিরা উপকৃত হবে বলে বিশ্বাস করি।

 

এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর সাত্তারের অফিসিয়াল নম্বরে বহুবার কল ও একাধিক ক্ষুদে বার্তা দিয়ে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। অফিসিয়াল ফোন নম্বরে কল দিলে অফিস সহকারী রিসিভ করেন, তবে এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি না বলে জানান। আবেদন পত্র অফিসিয়াল মেইলে পাঠালেও তার কোন উত্তর দেয়নি কুমিল্লা গণপূর্ত বিভাগ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুমিল্লা জেলার উপ-পরিচালক সরকার সরোয়ার আলম জানান, এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগ সর্বশেষ আডডেট তথ্য দিতে পারবে। কারণ কাজটি করতে গণপূর্ত বিভাগ। আমাদের হাতে যে তথ্য আছে তা হলো, চান্দিনার প্রথম তলা, দাউদকান্দির প্রথম ও দ্বিতীয় তলার ছাদের ঢালাই শেষ হয়েছে। কুমিল্লা নগরী, আদর্শ সদর, বি. পাড়া, নাঙ্গলকোট, চান্দিনা, লাকসাম, লালমাই, হোমনা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মডেল মসজিদের জমি নির্বাচন শেষ হয়েছে, কাজও শুরু হয়েছে। মনোহরগঞ্জ, বরুড়া, দক্ষিণ সদর, দেবিদ্বার, তিতাস, মেঘনা ও মুরাদনগরের মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ। জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান আছে। ডিসেম্বরে কোন মসজিদ উদ্বোধন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে উপ-পরিচালক বলেন, সম্ভাবনা খুবই কম। গণপূর্ত কাজ হস্তান্তর করার পর উদ্বোধন করা হবে। করেনাকালীন সময়ে কাজ অনেক পিছিয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন