গণশিক্ষার শিক্ষকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন

প্রতিনিধি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়ে) প্রকল্প অনুমোদন ও জানুয়ারি হতে বকেয়া বেতন- ভাতা প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। শনিবার কুৃমিল্লা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। পরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন গণশিক্ষার শিক্ষক প্রতিনিধিরা। এই সময় প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষক, কেয়ারটেকারদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাহববুর রহমান হোসেনপুরী, ফিল্ড সুপারভাইজার মতিউর রহমান, ফিল্ড সুপারভাইজার নূর মোহাম্মদ, শিক্ষক নেতা রবিউল হোসেন।

সূত্র জানায়,মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকল্পটি ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হয়ে৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭ম পর্যায় সমাপ্ত হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে প্রকল্পটির শিক্ষা কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ১৯ আগস্ট ২০২৪ ধর্ম উপদেষ্টা প্রকল্পের বিদ্যমান জনবলকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের আশ্বাস প্রদান করেন। উক্ত ঘোষণার বাস্তব অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিশ্ব সূত্রে শিক্ষকরা জানতে পারেন, ০৫ মাসের বেতন-ভাতা বাদ দিয়ে প্রকল্প অনুমোদনের তারিখ থেকে বেতন-ভাতা প্রদান করা হবে। এতে প্রকল্পে কর্মরত ৮৪০০০ শিক্ষক, কেয়ারটেকার, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের ব্যাপক উল ফিতরেও বেতন ভাতা দেওয়া হয়নি। বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পবিত্র ঈদুল আজহা’র পূর্বে তাঁদের বেতন-ভাতা প্রদান করা না হলে সারা দেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। তাদের দাবি গুলো হচ্ছে,জানুয়ারি-২০২৫ প্রকল্প অনুমোদন করতে হবে এবং ঈদুল আজহার পূর্বেই সকলের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে।
প্রকল্পে ৩য় থেকে ৮ম পর্যায় পর্যন্ত কর্মরত বিদ্যমান জনবলকে রাজস্ব খাতভূক্ত করতে হবে।
৭ম পর্যায় প্রকল্পের বিদ্যমান জনবলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৮ম পর্যায় প্রকল্পে স্থানান্তর করতে হবে। কেয়ারটেকার ও কর্মীদেরকে স্কেলভুক্ত করতে হবে। শিক্ষকদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।