গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক

 প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফরিদা বেগম (২৯) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। মঙ্গলবার উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের কালাচৌ বরইয়াপড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ফরিদা উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের পানকরা গ্রামের হেদায়েত উল্লাহর মেয়ে। স্বামী সারোয়ার আলম প্রায় ১০ বছর ধরে দুবাই প্রবাসী। ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
ফরিদার মা শহিদা বেগম জানান, জামাতা সরোয়ার আলমের সাথে জায়গাজমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার দেবর মোশারফ হোসেন, ভাশুর মোস্তফা ও শাশুড়ি জমিলা বেগমের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। ফরিদা তাদের হাতে প্রায় সময় মারধরের শিকার হতো। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে মেয়ে ফোন করে জানিয়েছিল, ‘মা, আমাকে নিয়ে যান, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এরপর জানতে পারি ফরিদা মারা গেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানান, ফরিদাকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি ওষুধের ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে জনৈক পল্লী চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়িতে এনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে পালিয়ে যান।
ফরিদার আট বছরের ছেলে ফয়সাল জানায়, সকালে দাদু, জেঠা আর দাদি মাকে মারছিল। মেরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আর মাকে দেখি না।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের ধারণা মারধরের শিকার হয়ে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। আবার এটি সরাসরি হত্যাকাণ্ডও হতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট হাতে ফেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

inside post
আরো পড়ুন