`বন্যায় ক্ষতির বিষয় ভারতের কাছে তুলে ধরা হবে’

 

`দুই মাসের মধ্যে নদী দখল উচ্ছেদের কর্মপরিকল্পনা’
প্রতিনিধি।।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এখানে বৃষ্টিপাত বাড়ছে, কিছুক্ষণের মধ্যে বাঁধগুলো খুলে দেব। তোমরা প্রস্তুতি নাও। এইটুকু জানাতে তো আপত্তি থাকার কোন কারণ নেই। সেজন্য আমরা ক্ষতিগুলোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ক্ষতিগুলোর এখন একটা হিসাব হয়ে গেছে। এখন অবশ্যই আমরা ভারতের সাথে এই বিষয়টা তুলবো।
সোমবার সন্ধ্যায় (২৩ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়ায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
নদী দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কি ভ্রান্ত একটা উন্নয়ন দর্শনের মধ্যে থাকি। মনে করি বিল্ডিং হওয়া মানে উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকার বুড়িগঙ্গায় ২০০০ এর বেশি স্থাপনা ভাঙ্গা হয়েছে। ভাঙতে চাইলে ভাঙ্গা যায়। নদীর উপরে স্থাপনা করার কারো তো কোন আইনগত অধিকার নেই। নদীর উপর স্থাপনা করার অনুমতি দেয়ার রাইট সরকারের নাই। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যেমন স্থাপনা করার অধিকার নেই, সরকারেরও তাদের স্থাপনা করার অনুমতি দেয়ার নিয়ম নেই। নদীরক্ষা কমিশনের কাছে ৬৬ হাজার দখলদারের তালিকা আছে। বিভাগীয় কমিশনারদের সাথে মিটিং করেছি। বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে দুই মাসের মধ্যে দেশের সকল নদ নদী ওই ৬৬ হাজার দখলদারের হাত থেকে কেমন করে বাঁচাবে? কেমন করে দখলগুলো ভাঙবে? দুই মাসের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা দিন। বিভাগীয় কমিশনাররা জেলা প্রশাসককে বলবে এবং সেগুলি ভাঙ্গার কাজ শুরু হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. আমিরুল হক ভূঁইয়া, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ড পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান প্রকৌশলী আবু তাহের, কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান প্রমুখ।