ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযানে নামলো পুলিশ
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই প্রথম ঘটা করে মাঠে নামলো পুলিশ। জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসন এবং ফুটপাতের হকার উচ্ছেদে অভিযান শুরুর মাধ্যমে জেলা পুলিশ শুরু করলো কর্মোদ্যম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা এবং স্থানীয় ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমানের নেতৃত্বে যানজট নিরসনে পুলিশের এই যৌথ অভিযান শুরু হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সুমন দত্তসহ প্রশাসন ও পৌর কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান চলাকালে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যেসব লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা প্রবেশ করেছে এগুলোকে জরিমানা করা হয়। এছাড়া সড়কের দু’পাশে যেসব ভ্রাম্যমাণ হকার রয়েছে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অচিরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে যানজট মুক্ত করা হবে।’
পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান বলেন, ‘যানজট মুক্ত শহর গড়তে অবাধে অবৈধ রিকশা চলাচল করতে দেওয়া হবে না। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আশপাশ এলাকার অসংখ্য যানবাহন অবাধে শহরে প্রবেশ করেছে। ফলে শহরজুড়ে সীমাহীন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব অবৈধ যান চলাচলের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর পুলিশের কার্যক্রম দৃশ্যত চোখেই পড়েনি। বিশেষত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হামলা চালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া, পুলিশের সরঞ্জামাদি লুণ্ঠিত হবার প্রেক্ষিতে পুলিশ একরকম নিরাপত্তাহীনও ছিলো। এরই মাঝে জেলার সবক’টি থানায় কর্মরত ওসিদের বদলীর মধ্য দিয়ে পুলিশ নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিতে থাকে। জেলার পুলিশ সুপারও বদলী হন। চলতি মাসের ৭ তারিখ পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদান করেন। জেলার সবক’টি থানা ইতোমধ্যে সচল করা হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতে প্রায় দেড় মাসের মাথায় জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসন এবং ফুটপাতের হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরুর মাধ্যমে জেলা পুলিশ তাদের কর্মোদ্যম শুরু করলো।