ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বেয়াইর দ্বন্ধে নিরীহ যুবক নিহত
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রবাসে থাকা স্বামী মোবাইল ফোনে স্ত্রীকে বলে ‘তোমার বাবা একজন মাদক ব্যবসায়ী’! এই নিয়ে দুই পরিবারে বাড়ে দ্বন্ধ। শেষতক দুই বেয়াইর দ্বন্ধে প্রাণ গেলো নিরীহ যুবক জিহাদ মিয়ার (৩২)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা এলাকার এই ঘটনার দায়ে এক বেয়াই মালু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামে ঘটে বর্বরোচিত এই ঘটনা ঘটে। নিহত জিহাদ মিয়া ওই গ্রামের মালেক মিয়ার পুত্র এবং ইব্রাহিম মিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে নিপা আক্তারের সাথে একই গ্রামের মালু মিয়ার প্রবাসী পুত্র সেলিম মিয়া বিয়ে হয়। সম্প্রতি নিপার সাথে তার স্বামীর মনোমালিন্য চলছিল। এই নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে দেখা দেয় দ্বন্ধ। সোমবার প্রবাসে থাকা স্বামী সেলিমের সাথে মোবাইল ফোনে স্ত্রী নিপার হয় তর্কবিতর্ক। স্বামী-স্ত্রীতে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সেলিম তার স্ত্রী নিপাকে বলে, ‘তোমার বাবা একজন মাদক ব্যবসায়ী’। নিপা এই কথা তার বাবা ইব্রাহীম মিয়াকে জানালে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এরই জেরে তার লোকজন নিপার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে হামলা করেন। এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকালে ইব্রাহিম মিয়ার লোকজনকে স্থানীয় বাজারে পেয়ে হামলা করেন মালু মিয়ার লোকেরা। পাল্টাপাল্টি হামলাকে কেন্দ্র করে গ্রামের সড়কে দুই বেয়াইয়ের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ায় সংঘর্ষে। এসময় ইব্রাহীমের পক্ষের জিহাদ মিয়া ছুরিকাহত হলে তাকে উদ্ধার করে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সোয়া তিনটার দিকে জিহাদ মারা যায়। পরে মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (ওসি) লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ইব্রাহীম মিয়ার বেয়াই মালু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’