ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেড় শতাধিকজনকে জরিমানা
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করোনা সংক্রমনের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে কঠোর লকডাউন। জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত গণপরিবহন, শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কঠোর লকডাউন পালনে মাঠে সেনাবাহিনীর টিম ছাড়াও র্যাব, তিন প্লাটুন বিজিবি, পাঁচ শতাধিক পুলিশ, আনসার সদস্য এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করছে। বিধিনিষেধ অমান্য করায় দেড় শতাধিক জনকে করা হয়েছে জরিমানা। সচেতনতা বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসন শহরে করছে মাইকিং, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল করা হয়েছে জোরদার।
লকডাউনে সরকারি কঠোর বিধি-নিষেধ প্রতিপালনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে টহল চালিয়েছে সেনা বাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার সকাল থেকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় করোনার সংক্রমণ রোধে করনীয় বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়া টহল চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সড়কে চলাচল করা বিভিন্ন ছোট যান আটক করে চলাচলের কারণ জানতে চান। পাশাপাশি যারা ঘর থেকে বের হয়েছে তারা কি কারণে বাইরে ঘুরাফেরা করছেন তার কারণ জানতে চান এবং করোনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে তাদের অবহিত করেন। জেলার অন্যান্য উপজেলায় ইউএন, ওসির নেতৃত্বে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ছোট আকারের যানবাহন চলাচল করেছে। শহরে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম দেখা গেছে। যেনো এক ধরণের থমথমে অবস্থা বিরাজমান। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে। এদিকে জেলা শহরের বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্স, বিপণী বিতান, মার্কেট, প্রধান সড়কগুলোর দোকানপাট দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন অলিগলিতে দোকানপাট খোলা।কেবল রিকশা ও একেবারেই স্বল্প সংখ্যক সিএনজি চলাচল করলেও ভারি যানবাহন চলাচল করছে না। এর ফলে কাঁচা বাজারগুলোতেও লকডাউনের বেশ প্রভাব পড়েছে। জেলার প্রতিটি উপজেলায় দুইজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। এসব অভিযানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৫৪ জন ব্যাক্তিকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রয়োজনে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, ‘প্রতিটি উপজেলায় দুইজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবের সমন্বতি একটি টহল দল লকডাউন বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে।’