ভুল ইনজেকশন, মুন হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ

 প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা নগরীর মুন হাসপাতাল রোগীর ব্যবস্থাপত্রে নির্ধারিত ইনজেকশনের পরিবর্তে ‘ভুল ইনজেকশন’ পুশ করে অধিক মূল্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগে হাসপাতালটির কনসালটেশন(রোগী দেখা) বিভাগের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহের) পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ।
স্বাস্থ্য বিভাগের চিঠিতে আরও বলা হয়, ডা. মোহাম্মদ আশরাফুল মতিন সাগরের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী গত ১০ এপ্রিল মনোয়ারা বেগম নামের রোগীকে ইনজেকশন অ্যাকলাস্টা (প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান-নোভার্টিস, সুইজারল্যান্ড) প্রদান করার কথা বলা হয়। যার বাজার মূল্য ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা বলে দাবি করা হয়। কিন্তু জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ইনজেকশন অ্যাকলাস্টা পরিবর্তন করে জোলেনিক (প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা বাংলাদেশ) যার বাজার মূল্য ৬হাজার টাকা প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ডাক্তার মোহাম্মদ আশরাফুল মতিন সাগরের একটি স্বাক্ষর বিহীন প্রতিবাদ লিপি প্রচার হয়। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না।  চিঠিতে বলা হয়েছে ‘তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত মুন হাসপাতালের কনসালটেশন সেন্টারের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তবে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম চালু থাকবে। ’
এ বিষয়ে মুন হাসপাতালের দায়িত্বশীল কেউ গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তবে এ ঘটনায় গণমাধ্যমে এক প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়ে ব্যখ্যা দিয়েছেন ওই হাসপাতালের খ-কালীন চিকিৎক মোহাম্মদ আশরাফ উল মতিন সাগর। তিনি বলেন, ঘটনার দিন তিনি চেম্বারে ছিলেন না। তার সহকারী বিজয় সরকার ইনজেকশন পরিবর্তন করে রোগীর মেয়ের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেন। যা জানতে পেরে তিনি টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করেন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি পেয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি লালমাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক।  অপর দুই সদস্য হচ্ছেন, মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সুমন চন্দ্র দত্ত এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম। ইতোমধ্যে কমিটি কাজ শুরু করেছে।

inside post
আরো পড়ুন