রাতা রহমানের রঙ্গন ফুল গাছে ডিম ধরেছে!

 

 

অফিস রিপোর্টার।।

রঙ্গন গাছে থোকায় থোকায় ফুল ধরবে। কিন্তু ওই গাছে ডিম ধরেছে! ডিম ধরিয়েছেন রাতা। রাতা রহমান দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুল লম্বা সময় ধরে বন্ধ। তাই মা-ভাইসহ অবস্থান করছে বাবার কর্মস্থল কুমিল্লায়। সেখানে সে নানা রকম সৃজনশীল কাজ করে চলেছে।

বাসায় যে ডিম খাওয়া হয়, তার খোলস ঝুলিয়ে দিচ্ছে ফুলগাছের কাণ্ডে। শুরুতে দেখলে যে কেউ অবাক হবেন। ভাববেন, আসলেই বুঝি কোনো ডিম গাছ আছে! অনলাইন ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে গাছের ডালে ডালে নান্দনিক কারুকাজ, ছবি আঁকা, বাবার সাথে ছুটির দিনে শাকসবজি চাষ করে এখন সময় পার করছে রাতা।

শেরে বাংলা নগর গার্লস স্কুলের ছাত্রী রাতা রহমান জানায়, ব্যতিক্রম কিছু করতে পারলে ভালো লাগে তার। তাই ময়নামতি জাদুঘরের রঙ্গন গাছের ডালে ডিম ধরিয়েছে সে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমানের একমাত্র মেয়ে রাতা। ড. আতাউর রহমান বলেন, ও তখন তৃতীয় শ্রেণিতে। জাতীয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হলো। সেখানেও রাতা অদ্ভুত ঘটনা ঘটালো। শিশু বঙ্গবন্ধুর হাফপ্যান্ট ও সেন্ডু গেঞ্জি পরা ছকি আঁকলো। বঙ্গবন্ধুর অবমাননা হয় কিনা, ওই ভয়ে ছবিটি জমা দিতে চাইনি। পরে চিন্তা করলাম, ও তো শিশু। শিশুর শিশু মনে যা ধরেছে, তা-ই এঁকেছে। পরে তার মায়ের পরামর্শে জমা দিলাম। এ ছবি নিয়ে তোলপাড়। রাতা ওই ছবির জন্য প্রথম স্থান অর্জন করে। শিল্পী হাসেম খান তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।