শিক্ষকের আহবানে ক্ষুদ্র ব্যবসায় ১০হাজার তরুণ

অফিস রিপোর্টার।।
শিক্ষকের আহবানে অনলাইনে ক্ষুদ্র ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়েছেন ১০হাজারের বেশি তরুণ। তাদের অধিকাংশ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ আশ-পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী আপন তিবরানী ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এই আহবান জানান। এছাড়া তিনি ১২শতাধিক তরুণকে অনলাইনে ব্লক-বাটিকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। বিভিন্ন কৃষি খামারে নিয়ে কৃষি পণ্য নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করতেও উৎসাহিত করছেন। বেতনের টাকায় এসব কাজ পরিচালনা করছেন। পরিবার ও পেশা সামলানোর সাথে পেইজে সময় দিচ্ছেন।

শুরু কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান,করোনায় বাসায় অলস বসে থাকতে বিরক্ত লাগছিলো। বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ হতো। কিছু শিক্ষার্থী একটা টিউশনির জন্য আকুতি জানাতো। তারা বলতো, মেম-একটা টিউশনি যোগাড় করে দেন না। আর তো চলতে পারছি না। তাদের আকুতি শুনে খারাপ লাগছিলো। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় টিউশনিও নেই। নিজের এরকম আর্থিক সামর্থ্য নেই যে সরাসারি সহযোগিতা করবো। তাই ভাবছিলাম তাদের জন্য কি করা যায়। আগস্টের প্রথম দিকে পেইজ খুলে তাদের ছোটখাট ব্যবসা করার পরামর্শ দিতে থাকি। সে লক্ষ্যে ব্লক বাটিকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি। এতে বেশ সাড়া পড়ে। পেইজে এখন ৭০হাজার সদস্য। তাদের দেখাদেখি অন্য তরুণরা বিভিন্ন ছোট ব্যবসা শুরু করে। কুমিল্লার সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণরাও ক্ষুদ্র ব্যবসায় উদ্যোগী হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোক্তা তৈরির উৎসাহও আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। কৃষিকে তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছি। তরুণদের বিক্রি করা উল্লেখযোগ্য পণ্য হচ্ছে,বাটিকের পোশাক,খাদি,রসমালাই, মিষ্টি, সন্দেশ, চিড়ার নাড়–,রান্না করা খাবার, ফল, মাটির সামগ্রী ও গহনা ইত্যাদি।
তিনি বলেন,পেইজ চালাতে অনলাইনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়েছি। শিক্ষা সাথে তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দিতে ভালো লাগছে। ধারণা করছি, ১০-১২হাজার তরুণ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছে।
চান্দিনার রূপসী বাংলা এগ্রোফার্মের পরিচালক তাজুল ইসলাম মুজাহিদ বলেন, আমাদের শিক্ষত তরুণদের মধ্যে ক্ষুদ্র কিছু করা বা কৃষি নিয়ে কাজ করা নিয়ে নাক সিটকানো ভাব রয়েছে। ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক কাজী আপন তিবরানী ম্যাডামের এই উদ্যোগ ব্যতিক্রম। তার অনুপ্রেরণায় অনেক শিক্ষার্থী ক্ষুদ্র ব্যবসায় উদ্যোগী হয়েছে।
জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন,কৃষিতে আমাদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তরুণরা কৃষিতে মনোযোগী হলে আমাদের দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। আশার কথা হচ্ছে, তরুণরা কৃষিতে এগিয়ে আসছে। ভিক্টোরিয়া ই-কমার্সকে সুন্দর উদোগ্যের জন্য অভিবাদন জানাই। ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আমি তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।