সাড়ে ৩ঘন্টা অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় মামলা ও আটক নেই

 

চৌদ্দগ্রামে আ’লীগের দুই গ্রুপে বিরোধ

অফিস রিপোর্টার।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সাড়ে তিন ঘন্টার সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। সংঘর্ষে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গেলো মঙ্গলবার এই সংঘর্ষের ঘটনায় ২৪ ঘন্টা পার হলেও থানায় কোন মামলা হয়নি। নেই কোন অস্ত্র উদ্ধার। বুধবার বিকেলে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত মামলা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা। এদিকে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা ও আশেপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে এখনো চাপা আতংক বিরাজ করছে। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন ফল ব্যবসায়ীর ফল লুট করা হয়।


ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, সংঘর্ষের পর আমাদের কাছে কোন পক্ষই মামলা কিংবা অভিযোগ করতে আসেনি। যেসব অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধার করতে আমাদের অভিযান চলছে।


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে মুখোমুখি হয় আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি মুজিবুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকরা। এ সময় দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় রণক্ষেত্রে রুপ নেয় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও আশেপাশের এলাকা। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষের সময় মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে আটকে পড়া বাহন চালকরা লাফিয়ে প্রাণ বাঁচায়। এ সময় কয়েকটি গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় অস্ত্রের প্রদর্শন ছিলো চোখে পড়ার মত। ককটেল বিস্ফোরণে উপজেলা পরিষদ এলাকা খালি হয়ে যায়। লাঠি, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।