প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১১, ২০২৪, ৮:৪৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ৯:২৯ অপরাহ্ণ
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার মামলা হয়েছে সাবেক দুই মন্ত্রী, ৮ এম.পি, জেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যান, তিন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২৪০ জন নেতা-কর্মীর নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০০ জনের বিরুদ্ধে। পৌর এলাকার শেরপুর মহল্লার বাসিন্দা আনিছুর রহমান বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় নাশকতা ও বিষ্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪(কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান, বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন, শাহজাহান আলম সাজু ও অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শাহআলম, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এমএসসি, ও মো. বিল্লাল মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌরমেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক পৌরমেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিসেস নায়ার কবির, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান বাবুল, গোলাম মহিউদ্দিন খাঁন খোকন, ডা. আবু সাঈদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সাংগঠনিক শেখ মো. মহসিন ও তানজিল আহমেদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনারা আলম, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি কাউছার আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডা. ডিউক চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভুইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা, কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়ছার ভূইয়া জীবন, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ এজহারনামীয় ২৪০জন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৩০০ লোককে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী আনিছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, মামলার আসামীরা গত ৪ আগষ্ট সকাল ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগনকে মারধর করেন। আসামীরা বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাশকতা ও বিষ্ফোরক আইনে মামলাটি এজাহারভূক্ত করা হয়েছ।'