সিলিং ভেঙে তিন মাস বন্ধ কুমেক হাসপাতালের এমআরআই মেশিন

ভোগান্তিতে রোগী
অফিস রিপোর্টার।।
তিন মাস বন্ধ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমআরআই(ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) বা চৌম্বকীয় অনুরণন প্রতিচ্ছবি মেশিন। মেশিন ঠিক থাকলেও রুমের কপার ও ফলস সিলিং ভেঙে পড়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। দ্বিগুণ বা তারও বেশি টাকা খরচ করে তাদের এমআরআই করতে হচ্ছে। কোথাও রোগীরা বেশি টাকা খরচের সাথে নি¤œমানের এমআরআই করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে রোগ নির্ণয়ে অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া যাতায়াতের ভোগান্তি তো রয়েছে। রোগী ও তাদের স্বজনদের দাবি দ্রুত এমআরআই মেশিন রুম সংস্কারের।
হাসপাতালের বিভিন্ন সূত্র জানায়,এখানে গড়ে প্রতি মাসে ২০০জন রোগী এমআরআই করেন। তাদের অধিকাংশ নি¤œবিত্তের। রোগীরা তিন হাজার টাকার পরীক্ষা বাইরে কোথাও ৬ হাজার কোথাও ৯হাজার টাকায় করতে হচ্ছে। এদিকে চিঠি চালাচালিতে সময় ক্ষেপণ হচ্ছে।
রোগীর স্বজন কামাল হোসেন বলেন,এক সপ্তাহ আমরা হাসপাতালে ভর্তি। যখনই আসি বলেন-রুমের সমস্যা। এখন এমআরআই করা যাবে না। বাইরে এত টাকা খরচ করা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য। এছাড়া রোগীকে বাইরে টানাটানি করাও ভোগান্তির।
রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো.আল-মামুন বলেন,আমাদের এআরআই মেশিন সব সময় চালু রাখতে হয়। মেশিন বন্ধ ছাড়া ফলস ও কপার সিলিং মেরামত করা যাবে না। বন্ধ করলে নতুন করে হিলিয়াম গ্যাস রিফিল করতে হবে। যার এক সিলিন্ডারের দাম ৪০লাখ টাকা। এবিষয়ে পরিচালক স্যার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো.মাসুদ পারভেজ বলেন,গরিব রোগীরা এমআরআই’র সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে আমাদেরও খারাপ লাগছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মেরামত তদারকি প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির প্রতিনিধি পরিদর্শন করে খরচের তালিকা করেছেন। তা ৪৭লাখের বেশি। আশা করছি দ্রুত আমরা একটা সাড়া পাবো।

inside post
আরো পড়ুন