প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ২:১৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৩০, ২০২১, ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
অটোরিকশা ছিনতাই করতে চালককে জবাই
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতেই এর চালক আসিফকে করা হয় জবাই করে হত্যা। এরপর অটোরিকশাটি মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। প্রায় এক বছরের মাথায় ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তারের মধ্যদিয়ে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হন ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোহেল ও ইয়াছিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা জানান।
অটোরিকশা চালক আসিফ হত্যার সাথে জড়িত দু'জন হলেন জেলার আখাউড়া উপজেলার খড়মপুর গ্রামের মুরশিদ মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়া (২০) এবং একই উপজেলার মৃত হীরা মিয়ার পুত্র ইয়াছিন আরাফাত (৪২)। মামলার তদন্ত সংস্থা তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনা স্বীকার করে এবং পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, গত বছরের ৩০ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউটের মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে মো. আসিফ (২০) ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় তার মা রাশিদা বেগম অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরদিন জানতে পারেন সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা গ্রামে রেল লাইনের উপর জবাই করা অবস্থায় আসিফের লাশ পড়ে রয়েছে। এই ঘটনায় রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিদর্শক মিজানুর রহমানক গত ২৭ জুন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে আখাউড়া থেকে সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। পরদিন সোহেল মিয়ার তথ্যানুযায়ী অপর পলাতক আসামী ইয়াছিন আরাফাতকে করা হয় গ্রেপ্তার। ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয় ইয়াছিনের গ্যারেজ থেকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আসিফকে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়। ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি ৩০ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ইয়াছিন আরাফাতের নিকট বিক্রি করে নগদ এক হাজার টাকা নিয়া চলে যায় সোহেল মিয়া। পরে গ্রেপ্তারকৃত দু'জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com