আমোদ ডেস্ক।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই। আজ শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দীন দিদার জানান, তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে স্ট্রোক করেন অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ। এর পর তাকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভোর ৬টার দিকে মারা যান তিনি।
বাদ জুমা রাজধানীর কাঁটাবনে মরহুমের বাসভবন সংলগ্ন বাজমে কাদেরিয়া জামে মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
এমাজউদ্দীন আহমদ ১৯৩৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রায় আড়াই দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য হিসেবে। ছিলেন বিভাগীয় প্রধান, মহসিন হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও সবশেষে ভাইস চ্যান্সেলর।
ঢাবি থেকে অবসরের ছয় বছর পর ২০০২ সালে ইউনিভার্সিটি অব ডেভলপমেন্ট অলটারনেটিভের ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগ দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তুলনামূলক রাজনীতি, প্রশাসন-ব্যবস্থা, বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক বাহিনী সম্পর্কে গবেষণা করে চলেছেন। এসব ক্ষেত্রে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবেও প্রখ্যাত। তার লিখিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। দেশ বিদেশের খ্যাতনামা জার্নালে তার প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যা শতাধিক।
তিনি সরাসরি বিএনপির কোনো পদে ছিলেন না। বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে গঠিত শত নাগরিক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com