আমোদ ডেস্ক।।
দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে করা কোনো মামলা আমলে নেয়ার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। বিভিন্ন আইন ও বিধি-বিধানে থাকা এমন নিয়ম মনে করিয়ে দিয়ে তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এই চিঠি পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, সব মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে এই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি আইন তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হল কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর সেকশন ১৯৭-এর সাবসেকশন (১) এর বিধান। যেখানে বলা আছে, বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা কোনো সরকারি কর্মকর্তার কর্তব্য/দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো কাজের জন্য পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো অপরাধ আমলে গ্রহণ করা যাবে না। একইভাবে কার্যকর রয়েছে জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট, ১৮৫০-এর সেকশন। এখানেও একই ধরনের নির্দেশনা রয়েছে।
[caption id="attachment_1158" align="aligncenter" width="1019"] বিজ্ঞাপন[/caption]
এছাড়া চিঠিতে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর ১৪ ধারার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘এই আইন বা তদাধীন বিধির অধীন প্রণীত সরল বিশ্বাসে কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত, কোনো কাজের জন্য কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো প্রকার আইনগত কার্যধারা রুজু করতে পারবে না।’
অপরদিকে কোড অব সিভিল প্রসিডিউর, ১৯০৮-এর সেকশন ৯ এবং অর্ডার সেভেন, রুল ১১(ডি) এ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার বারিত হওয়া ও আরজি বা মামলা খারিজের বিষয়ে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। এছাড়া সেফটি ক্লোজ হিসেবে বিভিন্ন আইনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরল বিশ্বাসে কৃত কাজের সুরক্ষা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় বিধান সন্নিবেশিত রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি পরিবীক্ষণ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব তৌহিদ ইলাহী স্বাক্ষরিত চিঠিটি মঙ্গলবার শেষ বিকালে ইস্যু করা হয়। বিশেষ বাহকের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ আইন সচিবের দফতরে পৌঁছানো হয়। এছাড়া এই চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সব সিনিয়র সচিব/সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিকে দেয়া হয়েছে।
[caption id="attachment_1154" align="aligncenter" width="1015"] বিজ্ঞাপন[/caption]
সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক/জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/কালেক্টর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারি কর্মচারীরা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মামলার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করেও মামলা করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা প্রতিপালিত হচ্ছে না।
[caption id="attachment_1148" align="aligncenter" width="1546"] বিজ্ঞাপন[/caption]
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com