আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা দেবিদ্বারে শাহজালাল (২৮) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক প্রায় প্রতি রাতেই শিশুদের বলাৎকার করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিত বেশ কয়েকজন শিশুর অভিযোগ, ওই শিক্ষক পবিত্র কোরআন চালান দিয়ে শিশুদের অভিশাপ দিবেন ও পাগল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রতি রাতেই মাদ্রাসার শিশুদের বলাৎকার করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দেবিদ্বার পৌরসভার নিউমার্কেট এলাকার চান্দিনা সড়কের জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুল নুর মাদ্রাসায়।
এদিকে ওই শিক্ষকের বলাৎকারের কারণে এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই শিশুর পিতা এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসার হোস্টেলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক শাহজালালকে শুক্রবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাকে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শাহজালাল দেবিদ্বার উপজেলার তালতলা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।
নির্যাতিত শিশু, অভিভাবক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি ভবনের তিনতলার একটি অংশ ভাড়া নিয়ে চলছিল ওই প্রাইভেট হাফেজিয়া মাদ্রাসাটি। এ মাদ্রাসার একাধিক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষক প্রতিরাতে মাদ্রাসার হোস্টেলের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে অভিশাপ দিবেন ও পাগল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শিশুদের বলাৎকার করতেন।
থানায় অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি বলেন, বলাৎকারের ফলে আমার একমাত্র ছেলেটি এখন অসুস্থ। তাকে নিয়ে এখন কুমেক হাসপাতালে আছি। ছেলেকে পবিত্র কোরআন ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিলাম। আমি ওই লম্পটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো.জহিরুল আনোয়ার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শাহজালালকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আসা অন্যান্য অভিযোগ গুলোও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া মাদ্রাসার অন্য কেউ এসব ঘটনায় জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com