বিনা কুমিল্লার কৃষক প্রশিক্ষণ

 প্রতিনিধি।।
কৃষক পর্যায়ে তেল জাতীয় ফসলের চাষ বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া নিজেদের তেল নিজেরাই উৎপাদন করে তেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র কুমিল্লার আয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), চাঁদপুর জেলার সহযোগিতায় আয়োজিত কৃষক প্রশিক্ষণে বক্তারা এই কথা বলেন।

ডিএই কুমিল্লার উপপরিচালকের কার্যালয়ে বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে মঙ্গলবার এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। ‘বিনা উদ্ভাবিত সরিষার জাতসমূহের পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল’ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণে চাঁদপুর জেলার আওতাধীন পাঁচ শতাধিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বিনাসরিষা-৪, বিনাসরিষা-৯ ও বিনাসরিষা-১১ এর বীজ বিতরণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার ৫০ জন কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে আবাদি জমির পরিমাণ কমে আসছে। আবার উল্টোদিকে প্রতিবছরই জনগণের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এমন অবস্থায় দেশে খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই খাদ্য চাহিদা সঠিকভাবে মিটানোর জন্য অল্প জমিতে বেশি ফসল উৎপাদন করতে হবে। কৃষিবান্ধব সরকারের নির্দেশনা হলো পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে হবে। এক ফসলি জমিকে দুই ফসলি, দুই ফসলি জমিতে তিন ফসলি এবং তিন ফসলি জমিকে চার ফসলের আওতায় আনতে হবে। এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য বিনা উদ্ভাবিত সরিষা ও ধানের জাত নির্বাচন করাই উত্তম। কারণ বিনার জাতগুলো স্বল্প জীবনকালীন এবং খরা সহিষ্ণু। কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষক বেশি উপকৃত হবে। সভাপতিত্ব করেন বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ডিএই, চাঁদপুর জেলার উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মেদ সিদ্দিকী, বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের, প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম, বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার ঊর্ধ্বোতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন, ডিএই চাঁদপুর জেলার প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল হাসান আলামিন। সঞ্চালনা করেন, বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ জুয়েল সরকার।