আইনজীবী এবং বিচারকের সাথে ঘটনা সত্যি হলে আমরা লজ্জিত : আইনমন্ত্রী

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী এবং বিচারকের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন,  এটা হাইকোর্ট তার এখতিয়ারে  নিয়েছে। আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করবো না। তবে ঘটনা এমন হয়ে থাকলে আমি অত্যন্ত দু:খিত এবং লজ্জিত।  আমি ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখেছি, সেটি যদি সত্য হয় তাহলে আমি মর্মাহত। আমি আইনজীবী পরিবারের সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী পরিবারেরর সকল আইনজীবীরা এমন ঘটনা করতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না। করে থাকলে ২/৩ জন আইনজীবী করতে পারে। আইনজীবীরা সবার আগে আইন মেনে চলে।
শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা  উপজেলায় পরিষদ মিলনায়তনে কসবা প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এম.পি এসব কথা বলেন। সম্মেলন উদ্ধোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন।
বিএনপি’র দুই নেতার জামিনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র দুই নেতার নিম্ন আদালত জামিন হয়নি। সেখান থেকে তারা মহানগর দায়রা জজ আদালতে গিয়েছেন। সেখানে একটি জামিন আবেদন করেছেন। সেটি নিস্পতি হওয়ার আগেই তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এই নিয়ে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে, যা নজিরবিহীন। যার কারণে এ্যাটর্নি জেনারেল আপীল বিভাগে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে রোববার আদেশ আসতে পারে। এটা আদালতের ব্যাপার আদালত দেখবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সংবিধান এবং সংবিধানে যে সময় লেখা আছে সেই সময় অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সংবিধানে যেটা লেখা নেই তা হবেনা। এর কোন ব্যত্যয় হবেনা। সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকারেরর কোন প্রবিশন নেই। কেয়ারটেকার অবৈধ। তাই এর কোন প্রশ্নই উঠেনা।
কসবা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানী, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, কসবা প্রেস ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন, সাবেক সভাপতি সোলেমান খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহা প্রমুখ।