মানবিক কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন বলছে বিদেশে যেতে দিতে হবে, না হলে আন্দোলন। উনার ১৫ জন আইনজীবী আমার সাথে দেখা করেছেন। উনাদের আবেদনের কোনো নজির আছে কি না তা দেখার জন্য আমি সময় নিয়েছি। সেই সময় নেয়াকে ঘিরে তারা আন্দোলনের হুঙ্কার দেয়।একটা কথা প্রচলিত আছে, 'দাঁড়াতে দিলে বসতে চায়, বসতে দিলে শুতে চায় আর শুতে দিলে ঘুমাতে চায়।' এখন বিএনপির হয়েছে সেই অবস্থা। মনে রাখবেন, মানবিকতা আন্দোলনের মাধ্যমে কামাই করা যায় না। আইন আইনের গতিতেই চলবে। আইনের বইয়ে আইন যেভাবে চলে, সেভাবেই চলবে। জিয়াউর রহমানের গতিতে আইন চলবে না, বিএনপির গতিতেও চলবে না।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অসহায়, দুস্থ, শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এম.পি এসব কথা বলেছেন।
আখাউড়া উপজেলা সদরের সড়কবাজারস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে তাঁর পরিবারের ১৭ জনসহ নৃশংভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। এ সত্য কথাটা জানার পরও খালেদা জিয়া মিথ্যা জন্মদিন সাজিয়ে কেক কাটেন। তারপরও জননেত্রী শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ায় দু'টি শর্তে সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। একটি হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা করবেন। কিন্তু আমরা বলিনাই তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না। তিনি তিনবার হাসপাতালে গেছেন। এখন বলছে বিদেশ যেতে দিতে হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শেখ হাসিনার সেবার সরকার বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ পাল্টে দেবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে ঘোষণা দিয়েছেন যার ঘর নাই, তাকে ঘর বানিয়ে দিবেন। যাদের ঘর নাই, তাদের জমিও লাগবে না। খাস জমি লিখে দিয়ে তাদেরকে ঘর বানিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং এটা করে দেওয়া হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এক লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকার প্রনোদনা দিয়েছেন যাতে কেউ চাকরিচ্যুত না হয়, কারও কর্মস্থল যাতে বন্ধ না হয়ে যায়। যত দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনগণকে সেবা দিবেন, ততোদিন বাংলাদেশের মানুষের কোনো চিন্তা নাই। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা করোনা ভাইরাস পার করেছি। আমরা আবার এদেশের উন্নয়নের চাকা ঘুরাতে শুরু করে দেব। করোনা ভাইরাসের জন্য যে উন্নয়ন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। করোনা ভাইরাস কমে যাওয়ায় এখন সে কাজগুলি শুরু হবে। করোনা ভাইরাস এখনও যায় নাই মন্তব্য করে তিনি সকলকে করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়া এবং মাস্ক পরিধানের পরামর্শ দেন।
আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ্-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লা ভূইয়া বাদল, সাধারণ সম্পাদক কাজী লিটন খাদেম, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। (ছবি : মেইলে সংযুক্ত)