অফিস রিপোর্টার
আগে সম্পদ পাচার হতো পশ্চিম পাকিস্তানে, এখন পাচার হয় ইউরোপ, আমেরিকা, ভারতে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদ লুট করা হয়েছে। জাতীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নেই। এমনকি আমাদের রক্ষাকবচ, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে পর্যন্ত ধ্বংস করা হচ্ছে। পালাক্রমে দেশ শাসন করা শাসকেরা দেশে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। এরাই গনতন্ত্রহীনতা, ভোটের অধিকার হরণ, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা লালন পালন করে চলেছে। দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদী শক্তির তাঁবেদারি করে। এদের হাত থেকে দেশ ও দেশের সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক দল সিপিবিকে আরো সক্রিয় করতে হবে। গণ-আন্দোলন, গণ-সংগ্রামের ধারায় পার্টিকে এগিয়ে নিতে হবে। অন্যান্য বাম প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক নিষ্ঠাবান শক্তি, দল, ব্যাক্তিকে কাছে টানতে হবে।
কুমিল্লায় দিনব্যাপী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ( সিপিবি )'র রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শিক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে দলের সাধারন সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স এ বক্তব্য তুলে ধরেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কুমিল্লার বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তনের মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে ওই কর্মসূচীতে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষীপুর জেলা নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়। সিপিবি কুমিল্লা জেলা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড সুজাত আলীর সভাপতিত্বে এবং কমরেড পরেশ করের সঞ্চালনায় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শিক্ষা কার্যক্রমে আরো আলোচনা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড শাহীন রহমান ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মৃণাল চৌধুরী ।
কমরেড প্রিন্স দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যার্থতার সমালোচনা করে বলেন, সারাদেশের মানুষের চাহিদা মত খাবার সরবরাহে, বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকার ব্যর্থ। সবকিছুর দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কম খেয়ে পুষ্টিহীনতায় ভূগছে।
কমরেড প্রিন্স সারা দেশে রেশন ব্যবস্থা, ন্যয্যমূল্যের দোকান চালু, ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি ও কমদামে ওয়ার্ডে নিত্যপন্য সরবরাহের দাবি জানান।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচী শেষে চাল - ডাল - তেল-বিদ্যুৎ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদর মূল্য বৃদ্ধি এবং নেত্রকোনার কলমাকান্দায় কমিউনিস্ট পার্টির কর্মসুচীতে হামলার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ।