মহিউদ্দিন মোল্লা।।
টাউন হল মাঠ। কুমিল্লা নগরীর প্রাণ কেন্দ্র। সেখানে বসেছে মাস ব্যাপী বৃক্ষ মেলা। মেলার ৪৫টি স্টলে স্থান পেয়েছে দেশি বিদেশি রঙিন ফল। এতে আমেরিকা,চীন ও জাপানের রঙিন আমের আধিপত্য দেখা গেছে। দর্শনার্থী ও ক্রেতারা রঙিন ফল দেখে মুগ্ধ। এই রঙিন ফলে হাসবে কুমিল্লা নগরীর বাসা-বাড়ির ছাদ।
কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগ আয়োজিত মেলা সোমবার উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) পংকজ বড়ুয়া,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনে থোয়াই মারমা, কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার সিরাজ উদ্দিন হোসেন, বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার হুমায়ুন কবির প্রমুখ। উদ্বোধন শেষে টাউন হল মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ফলজ,বনজ ও ওষুধি,ক্যাকটাস,বনসাইসহ নানা ফুল ফলের মেলা বসেছে। টাউন হল যেন একখ- বন। বিশেষ করে রঙিন আমের গাছ থেকে চোখ ফেরানো দায়। রঙিন আম গুলোর সব গুলো বিদেশি জাত। আমেরিকার আমেরিকান পালমার। মিয়াজাকি আম জাপানের। চীনের চিয়াংমাই ও চাকাবাত। আরো আছে থাই ব্যানানা ও ব্রুনাই কিংসহ নানা জাতের আম। প্রতি আমের ওজন ৫০০গ্রাম থেকে এক কেজি। ড্রামে আমসহ গাছ গুলোর দাম ১০ থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতা কাউসার আলম ও সাউদা আক্তার বলেন, গাছে রঙিন আম দেখে মনে হলো কেউ ফলের গায়ে রঙ করেছে। ফলের গায়ে হাত দিয়ে ছুঁয়েও দেখলাম। আমের সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানো যায় না।
গ্রীণ হাউজ নার্সারির স্বত্বাধিকারী সৈয়দ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের নার্সারির সংগ্রহে ৭০ জাতের আম রয়েছে। মেলায় ১০টির মতো জাত তোলা হয়েছে। সব গুলো বিদেশি। ড্রামের চারা গুলো সাধারণত বাসা-বাড়ির ছাদে স্থাপন করা হয়। আমরা বেশ সাড়া পাচ্ছি। আমাদের স্টলে আম ছাড়াও নাশপাতি, ৫০ রকম ফলের চারা,বনজ ও ওষুধি,ক্যাকটাস,বনসাইয়ের চারা রয়েছে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com