।। তৈয়বুর রহমান সোহেল।।
সত্তরে পা রেখেছে সাপ্তাহিক আমোদ। মানুষ হলে বলা হতো আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে এসেছে। আর পত্রিকার আয়ুষ্কাল? কবেই শেষ! কিন্তু আমোদ, ৬৯ পেরিয়ে ৭০-এ। আমোদ এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম সাপ্তাহিক। বিস্ময় জাগানিয়া ব্যাপার। মনে হয়, নতুন করে যাত্রা শুরু হয়েছে আমোদের।
পত্রিকা সাদাকালো থেকে রঙিন হয়েছে। আকারে পরিবর্তন এসেছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও ভালো করছে। সাংবাদিক, সম্পাদনা পর্ষদেও কিছুটা রদবদল হয়েছে, কিন্তু পত্রিকার তেজোদ্দীপ্ততা কমেনি। সাপ্তাহিক পত্রিকা, অথচ টাটকা সংবাদে ভরপুর এমন সংবাদপত্র কুমিল্লায় দ্বিতীয়টি নেই। পত্রিকার পাঠক আমোদে হাত দিয়ে ডুবে যান মধুমাসে। এ পত্রিকার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে কাজ করতে পরে গর্ববোধ করছি।
আমোদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ও প্রয়াত উপদেষ্টা সম্পাদক শামসুন্নাহার রাব্বীর আত্মার শান্তি কামনা করছি। সুদূর আমেরিকায় থেকে পত্রিকাটির সম্পাদনা করছেন বাকীন রাব্বী। তিনি পত্রিকার সব নিউজ, পত্রিকার মেকআপ যেমন খেয়াল রাখেন, আমোদ পরিবারের সাথে যুক্ত সব সদস্যের খোঁজখবরও রাখেন নিয়মিত। তার সুস্থতা কামনা করছি। পত্রিকাটিকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মহিউদ্দিন মোল্লা। তিনি সারা সপ্তাহ পত্রিকা ফেরি করে বেড়ান। পাঠকের হাতে তুলে দিতে পারাতেই তার আনন্দ।
লিখব লিখব বলে লেখা হচ্ছিল না। এদিকে আমোদ সত্তরে। লেখার লোভ সংবরণ করতে পারছিলাম না। অপরদিকে আমোদ ইতিহাস তৈরি করছে, সেই ইতিহাসের পাতায় আমি নেই, ভাবতেই মন ভার হয়ে উঠছিল। যারা রক্ত দিয়ে, সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে, জীবনের নানা সাধ বিসর্জন দিয়ে এই পত্রিকাটি নির্মাণ করেছেন, তাদের কথা মনে পড়লেই আলস্য উধাও হয়ে যায়। আলস্যকে ক্ষণিক ছুটি দিয়ে লিখে ফেললাম। আমোদে বাঁচুক 'আমোদ', এই প্রত্যাশায়।
লেখক:সাংবাদিক।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com