মো.আব্দুল জলিল।।
শাহ সুফী হাফেজ আবদুল আজিজ (রহ:) ও বাতাখালী হাফেজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা। যার সাথে রয়েছে আধ্যাত্মিক সুগভীর সম্পর্ক। যা বর্তমান প্রজন্মের অনেকের অজানা। এই প্রতিষ্ঠানটি নতুন ভবনের ঠিক পিছনে রয়েছে হাফেজ সাহেবের রওজা শরীফ। অনেকটা সাদামাটা ও সাধারণ পরিবেশে। যাকে ঘিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। ১৯৮৫ সাল প্রতিষ্ঠিত এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে এখন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে ৭০ জনের তিন বেলা প্রতিদিন প্রায় ২শ জনের আহারের ব্যবস্থা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ চলমান। ৬ জন শিক্ষক ও ১ জন বাবুর্চি কর্মরত। শত প্রতিকূলতার মাঝেও লিল্লাহ বোর্ডিং এ শিক্ষকদের বেতন নিয়মিত যোগানের পাশাপাশি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ৫ তলা ভবনের কাজ চলমান। ইতিমধ্যে প্রথম তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন। লিল্লাহ বোডিং চালুর পর থেকে আজ পর্যন্ত একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। বিশেষ সংকট দেখা দিলে আল্লাহর বিশেষ কুদরতিতে নাম না জানা ও অপরিচিত অনেকে প্রতিষ্ঠানের সৃষ্ট সংকট লাঘবে সহায়তা করেন। এধরনের বহু নজির বিদ্যমান। জনশ্রুতি আছে জীবদ্দশায় হাফেজ সাহেবকে অসংখ্য জ্বীন সেবা ও সহযোগিতা করতেন। মৃত্যুর পরও ঐসব জ্বীনদের অনেকে এখনও কবরের আশে পাশে বিচরণ করে আসছে।
শাহ্ সুফী হাফেজ আবদুল আজিজ একজন খাঁটি বুজুর্গানে দ্বীন ছিলেন। ছোট বেলা হতে সহজ সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। একজন সৎ মানুষ হিসেবে সকল মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন। উল্লেখ্য, জন্ম ২৩ ফাল্গুন ১৩০৪ বাংলা, মৃত্যু ফাল্গুন ১৩৮৪বাংলা। তিনি ৮০বছর বেঁচে ছিলেন। জন্ম ও মৃত্যু একই তারিখে।
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার খিলা ইউনিয়নের ঘুঘুরচপ হতে তিনি লাকসামে আসেন। নওয়াব ফয়জুন্নেছার প্রতিষ্ঠিত পশ্চিমগাঁও ইসলামীয়া হাই মাদ্রাসাতে তিনি একজন সুদক্ষ শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। সেই সাথে নওয়াব ফয়জুন্নেছা জামে মসজিদে পেশ ইমাম হিসেবে মনোনীত হন।
নবাব ফয়জুন্নেছা মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগের ইন্টারভিউর বিষয়টি এখনও পশ্চিমগাঁয়ের মুরব্বীদের মুখে মুখে। ইমাম নিয়োগের পরীক্ষাটি ছিল একদিন ফজর নামাজের জামাতে ইমামতির মাধ্যমে। হাফেজ সাহেব প্রথম দিনেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হবেন ! এমন ধারণা ছিলো মুসল্লিদের। কারণ, মসজিদের মুতাওয়াল্লী সেরাজুল হক ঐ দিন ফজর নামাজ আদায়ে বিশেষ কারণে একটু দেরীতে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে হাফেজ সাহেব নামাজ শেষ করে বিদায়ের প্রস্তুতি নেন। মুসল্লিদের ধারণা চাকরিতো দূরের কথা, হাফেজ সাহেবে এজন্য ভর্ৎসনার পাত্র হবেন। রাগান্বিত স্বরে মুতাওয়াল্লী সৈয়দ ছেরাজুল হক তাকে ছাড়া নামাজ আদায়ের কারণ জানতে চান। হাফেজ সাহেবের সোজা সাফটা উত্তর। সঠিক সময়ে নামাজ পড়ানো তার কাজ। কে আসলো, কে আসলোনা, এটা দেখার সুযোগ নেই। এর পর তাঁকে ইমাম চূড়ান্ত করা হয়। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি উক্ত দায়িত্ব পালন করেন।
সকাল সন্ধ্যায় নওয়াব পরিবার এবং স্থানীয় অনেককে সূরা ক্বেরাতসহ ইসলামী হাদিস মাসায়েল বিষয়ে তালিম দিতেন। তাঁর কাছ থেকে অনেকেই সহি কোরআনের তালিম নিয়েছেন। জাতীয় সংসদ সদস্য মোঃ আবদুল আউয়াল, জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জালাল আহমদ, হাজ্বী আলতাফ আলী, মরহুম ডাঃ নুর আহম্মদসহ বহু সুধীজন শাহ্ সুফি আবদুল আজিজ (রহঃ)র কাছে পবিত্র কোরআন তালিম দিয়েছেন।
হাফেজ সাহেব নবাব বাড়ির মসজিদে এশার নামাজের ইমামতি করে প্রায় রওয়ানা হতেন গ্রামের বাড়ির শাহরাস্তির ঘুঘুরচপের উদ্দেশ্যে। আবার ফজরের পূর্বে ইমামতির জন্য হাজির হতেন মসজিদে।দীর্ঘ ১৫ মাইর রাস্তা পায়ে হেঁটে এতো দ্রুত যাতায়াতের বিষয়টি অনেকে অলৌকিক মনে করতেন।
বাতাখালীর মুন্সী বসির উদ্দিন এর কন্যা নজিরুন্নেছার সাথে শাহ্ সুফি হাফেজ আবদুল আজিজ (রহঃ) এর শাদি মোবারকে পাত্রী পক্ষের খুশীর খবরের সাথে নওয়াব পরিবারও খুশি হন।
শাহ্ সুফী হাফেজ আবদুল আজিজ (রহঃ) এর অপ্রকাশ্য ও গোপনীয় আধ্যাত্মিক অনেক গুণের কথা আজো প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। বাতাখালীতে জনশ্রুতি আছে হাফেজ সাহেবের সাথে তার এক প্রতিবেশী বেয়াদবি করে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পাগল ছিলেন। নওয়াব ফয়জুন্নেছার বংশধরেরা শাহ্ সুফী আবদুল আজিজ (রহঃ) কে শ্রদ্ধা ভক্তি এমনকি পীরের মর্যাদা দানে আন্তরিক ছিলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় হাফেজ সাহেবের একটি অলৌকিক ঘটনা বর্ণনা করেন নবাব ফয়জুন্নেছা ওয়াকফ্ এস্টেটের বর্তমান মুতাওয়াল্লী সৈয়দ মাসুদুল হক। তিনি বলেন, সম্ভবত যোহরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হচ্ছেন হাফেজ সাহেব। সাথে আমি ও প্রয়াত ছেরাজুল হক সাহেব, হঠাৎ দেখলাম পাকিস্তানী আর্মির জনৈক মেজরের নেতৃতে মসজিদের চারদিক ঘেরাও করে। হাফেজ সাহেবের সাথে উর্দ্দুতে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন পাক আর্মি মেজর। বন্দুকের ভয় দেখালেন। হাফেজ সাহেব আল্লাহ ছাড়া কাউকে পরোয়া না করার কথা বলেন। আর্মিদের ভয়ে আমি ও ছেরাজুল হক সাহেব অস্থির হয়ে পড়ি। হাফেজ সাহেব আমাদের সাহস যোগালেন। বললেন আল্লাহর উপর ভরসা রাখো। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মেজর হাফেজ সাহেবের বুক তাক করে গুলি ছুড়লেন। হুজুর চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকলেন। বন্দুক থেকে অলৌকিক কারণে গুলি বের না হওয়ায় মেজর হতভম্ব হয়ে যান। সাথে সাথে হাফেজ সাহেব হুজুরের পায়ে পড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে। পাক আর্মি মেজর বলেন- হুজুর আপনাকে আমি চিনতে ভুল করেছি। আমাকে ক্ষমা করুন। অলৌকিক ও আধ্যাত্মিক অসংখ্য গল্প ও কাহিনী রয়েছে হাফেজ সাহেবকে ঘিরে।
লাকসাম-বিএন হাইস্কুলের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ মিয়া কঠিন রোগে আক্রান্ত, ডাক্তারী চিকিৎসা বিফল, তখন অনেকের অনুরোধে শাহ সুফী আবদুল আজিজ (রহঃ) মোরাকাবাতে মোঃ ইউসুফ মিয়ার রোগমুক্তির জন্য মোনাজাত শেষে পানি পড়া পান করে কঠিন রোগ হতে মুক্তি পান। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মাস্টার ইউসুফ ঐ রোগ থেকে মুক্ত ছিলেন।
মাস্টার মোঃ ইউসুফ আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করেন এভাবে- একদিন হাফেজ সাহেব নবাব বাড়ি মসজিদে নামাজ শেষে বের হচ্ছিলেন। ব্যথায় অস্থির এক লোক ছটফট করতে করতে হাফেজ সাহেবের পা চেপে ধরলেন। বললেন দীর্ঘদিন তার অসহ্য পেট ব্যথা। হাফেজ সাহেব তাঁর হাতের লাঠি দিয়ে মসজিদের দরজার পাপোষটি সরিয়ে এক চিমটি ধুলা বালি তাকে খেতে বললেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তার ব্যথা থেমে গেল।
কানাডা প্রবাসী শহিদুল ইসলামের বর্ণনামতে একদিন তিনি লাকসাম বাজার থেকে গভীর রাতে বাতাখালী ফিরছিলেন। পশ্চিমগাঁও বাগবাড়ির পাশে বটগাছের কাছে এসে ভয়ে অস্থির হয়ে পড়েন। সামনে বিশাল আকৃতির একটি গাভী। হঠাৎ করে কোথা থেকে হাফেজ সাহেব এসে হাজির। বললেন- কিরে ভয় পেয়েছিস ? আমি সাথে আছি ভয়ের কিছু নেই।
একবার নরপাটি পশ্চিম পাড়ায় মরহুম ডাঃ নুর আহম্মদ সাহেবের বাড়িতে আগুন লাগে। সেই বাড়ির সঙ্গে হাফেজ সাহেবের আত্মিক সম্পর্ক ছিল। হাফেজ সাহেব তখন পশ্চিমগাঁও নবাব বাড়ির মসজিদে মোরাকাবায় ছিলেন। হঠাৎ তিনি মসজিদ হতে বের হয়ে দৌঁড়াতে থাকেন। দোয়া দরুদ পড়তে পড়তে হাতে ধুলা-বালু নিয়ে নরপাটির দিকে নিক্ষেপ করতে করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। অলৌকিকভাবে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি।
তিনি স্বল্প আহার করতেন। নিদ্রা কম করে ইবাদতে বেশি রাত কাটাতেন।
পশ্চিমগাঁয়ের নবাবেরা হাফেজ সাহেবকে অনেক কিছু দিতে চেয়েছেন। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করতে নারাজ ছিলেন।
তিনি বলতেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদে শয়তানের আখড়া হয়ে যায়। সম্পদ যতবেশী, পরকালে হিসাবও তত বেশি। হাফেজ সাহেবের ছাত্রী নবাবজাদী রোকন বিবি পশ্চিমগাঁয়ের চারঘাটলা পুকুরসহ তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়িটি নামে মাত্র মূল্যে হুজুরকে হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাফেজ সাহেব এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
পশ্চিমগাঁও পুরান বাজারের বাসিন্দা হাজী আবদুর রহিমসহ অনেকের কাছে শোনা যায়, নওয়াব ছেরাজুল হকের সাথে হজ্বব্রত পালনের সফরসঙ্গী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন হাফেজ সাহেব। পরবর্তী বছর হজ্বে যাওয়ার ব্যবস্থার আশ্বাস দেন নবাব পরিবার। অতঃপর ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম নৌ বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন ছৈয়দ ছেরাজুল হক। কিন্তু অলৌকিকভাবে ট্রেনে এবং সর্বশেষ চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে নবাব ছেরাজুল হকের মুখোমুখি হন হাফেজ সাহেব। বিষয়টির অলৌকিকত্ব অনুধাবন করে চট্টগ্রাম শহরে যাত্রা বিলম্ব করেন তিনি। জরুরী ভিত্তিতে হাফেজ সাহেবের হজ্বে যাওয়ার আনুসঙ্গিক সম্পন্ন করেন। তারপর একসাথে হাফেজ সাহেবকে সাথে নিয়ে হজ্ব পালন করেন তিনি।
লাকসাম পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মেজর অব: হাবিবুর রহমান মজুমদার বলেন- হাফেজ সাহেবর ছেলে মাওলানা সামছুল ইসলাম গাজীমুড়া মাদ্রাসার তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। আমাদের কয়েকবছর সিনিয়র ছিলেন। আমাদেরকে মুজাহিদ প্রশিক্ষণ দিতেন। ব্যারিস্টার হাবিবুল হকের রাজনৈতিক সচিব ছিলেন তিনি। ছৈয়দ রফিকুল হকের পত্নী বেগম ইরানী হক তাকে ধর্মের ভাই সম্বোধন করে অনেক জায়গা সম্পদ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা গ্রহণ না করে তিনি হাজী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তা ব্যবস্থা হয় ।
তৎকালীন সময়ে লাকসামসহ পশ্চিমগাঁও গ্রামাঞ্চলে গুটি বসন্তের (কলেরার) ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হতোনা। চারদিকে মৃত্যুর ছড়াছড়ি। হাফেজ সাহেব গভীর রাতে কলেরা রোগীদের বাড়ি বাড়ি হাজির হতেন। তাদের রোগমুক্তির জন্য দোয়া করতেন।
হাফেজ সাহেবের একমাত্র ছেলের শ্বশুর লালমাই উপজেলার দত্তপুরের হাফেজ আমজাদ আলী (রহঃ)। তিনি হাফেজ সাহেবের মাদ্রাসার সহপাঠি ও বন্ধু ছিলেন। বন্ধুর মৃত্যুর পর বাদ আছর জানাজায় শরীক হতে পরেননি তিনি। বিলম্ব পৌঁছে মাগরিবের পর বন্ধু আমজাদ আলীর কবর জেয়ারতে যান। আচ্ছালামুুআলাইকুম বলার সাথে সাথে কবর থেকে অলৌকিকভাবে সালামের জবাব ভেসে আসার বিষয়টি আশে পাশের বাসিন্দারা শুনে ভয়ে আঁতকে উঠেন। যা দত্তপুরের অনেকের মুখে এখনো শোনা যায়।
বর্তমানে শাহ সুফী আবদুল আজিজ (রহঃ) এর মাজারকে কেন্দ্র করে মাজার সংলগ্নে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সর্বপ্রথম হাফেজ সাহেবের এক ভক্ত, বিনই গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক প্রয়াত মোঃ মমতাজ উদ্দিন এবং লাকসাম রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ শাহ্ সুুফী হাফেজ আবদুল আজিজ (রহঃ) এর মাজার সংস্কার কাজের সূচনা করেন। মাজারের প্রবেশ পথে পাকা গেইট, টিনের ছাউনির মাদ্রাসা ঘর তৈরি করেন। গ্রামবাসীসহ অনেকেই সহযোগিতা করেন।
যার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে শাহ্ সুফি হাফেজ আবদুল আজিজ (রহঃ) স্বীয় ছেলের ঘরের সন্তান, সুযোগ্য নাতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজ সেবক জনাব এম এস দোহার সুদক্ষ দিক নির্দেশনায়, দাদা হুজুর শাহ সুফী আবদুল আজিজ এর মাজার ঘিরে হাফেজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা ও ইসলামের গবেষণার প্রচার ও প্রসারের কর্মকান্ড চলমান।
লেখক: প্রয়াত ভাষা সৈনিক,বিশিষ্ট সাংবাদিক।
অনুলিখন: নুরউদ্দিন জালাল আজাদ।
সূত্র:
বৃহত্তর কুমিল্লার পীর মুর্শিদের আস্তানায়, পৃষ্ঠা-১৩।
পীর মুর্শিদের বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা-১০৮।
লাকসাম জনপদ কথামালা, পৃষ্ঠা-৭৫।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com