আশুগঞ্জে জোড়া খুন; এক মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামী

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে জোড়া খুন ঘটনার প্রায় এক মাস পেরিয়েছে। এখনো গ্রেপ্তার হয়নি মূল আসামী। এদিকে হত্যা মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোসহ নানা ধরণের ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করছে। এতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন উদ্বেগ, আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায়। 
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের লামাবায়েক গ্রামে চাঞ্চল্যকর ইশান ও মনির হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় ২১ জনের নামে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গত এক মাসে এই ঘটনায় শুধুমাত্র একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরাপর আসামীরা প্রকাশ্যে, নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার লালপুরে দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে লামাবায়েক গ্রামের মিলন মিয়ার পুত্র ইশান মিয়া (২২) ও সিরাজুল ইসলামের পুত্র মনির হোসেনকে (২৪) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গ্রামের দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় লামাবায়েক গ্রামের বাদশা মিয়ার বাড়ির আহমদ আলীর পুত্র আলী আজম এবং বাচ্চু মিয়ার বাড়ির মতলব মিয়ার পুত্র দুলাল মিয়ার মধ্যে  কথাকাটাকাটি হয়। এসময় আলী আজম দুলালকে চর থাপ্পড় মারে। এরই সূত্র ধরেই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে ঘটনা স্থলে উপস্থিত ইশান ও মনির নিহত হয়। একই গ্রামের আলী আজ্জম, মাহফুজ ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা তাদের হত্যা করে বলে নিহতরে স্বজনদের অভিযোগ। এ ঘটনায় ১ অক্টোবর আশুগঞ্জ থানায় ২১ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের টানা একমাস পার হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারে করছে টালবাহান করছে।
নিহত ইশানের বাবা মিজানুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের এতদিন পার হলেও আসামীদের ধরা হচ্ছে না। এতে আমরা রয়েছি আতঙ্কে। কখন কি ঘটে তাও বলতে পারি না। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাই।
মাতা আকলিমা আক্তার জানান, ছেলেই ছিল আমার একমাত্র ভরসা। অনেক শ্রম অনেক প্রচেষ্টা দিয়ে তাকে লালন পালন করেছি। আমার ছেলেকে যারা মেরে ফেলেছে তারা এখনো মুক্ত আকাশের নীচে ঘুরাফেরা করছে আর আমরা কষ্টে দিন পার করছি। আসামীদের হুমকী ধামকীতে আমরা এখন আতঙ্কে রয়েছি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, ‘হত্যাকান্ডের পর অপরাধীরা স্বভাবতই পালিয়ে থাকে। তাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে