১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। সেসময় এক কোটি বাঙালি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া থেকে শুরু করে বিশ্বমহলে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ের সার্বিক প্রচেষ্টাসহ নতুন রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক লড়াইয়ে ভূমিকা রাখেন। ২০১১ সালের ২৫শে জুলাই বাংলাদেশ সরকার মরণোত্তর ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’য় ভূষিত করে তাকে।
১৯১৭ সালের ১৯শে নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন ইন্দিরা গান্ধী। পণ্ডিত জওহর লাল নেহরুকন্যা ইন্দিরার ছাত্রজীবন কেটেছে স্যুইজারল্যান্ডের বেকস্-এই কোলেনোভেল, জেনেভার ইকোলে ইন্টারন্যাশনাল, পুনে ও মুম্বাইয়ের পিউপিলস ওন স্কুল, ব্রিস্টলের ব্যাডমিন্টন স্কুল, শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী এবং অক্সফোর্ডের সামারভিল কলেজে।
আশির দশকে চতুর্থ দফায় প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারতের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়ে । বেশ কিছু রাজ্য কেন্দ্রীয় শাসন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায়, যাদের মধ্যে পাঞ্জাবও ছিল অন্যতম । সন্ত জার্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের নেতৃত্বে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্বতন্ত্র ভূখন্ড ‘খালিস্তান’ এর দাবিতে সহিংস আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮২ সালের জুলাই মাসে জার্নাইল সিং অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে অবস্থান নেন এবং শিখদের ভেতরে বিদ্রোহ উস্কে দিতে থাকেন।