আমোদ প্রতিনিধি।।
সরেজমিনে, বড় গোবিন্দপুর কেন্দ্র ও চান্দিনা বিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। বিশ্বাস ভোট কেন্দ্রের বাইরে নৌকা ও জগ প্রতীকের প্রার্থীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
কামাল হোসেন নামের এক ভোটার জানান,৫১ভাগ ভোট ইভিএমে নিতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ৮০/৯০ভাগ ভোটার ভোট দিলে তো সারা রাতেও শেষ হবে না।
এদিকে বড় গোবিন্দপুর কেন্দ্রে বিকাল ৪টার ভোট শেষ হয়েছে বিকাল পৌনে ৫টায়। আরো কয়েকটি কেন্দ্রে ৬টার দিকে ভোট শেষ হয়।
চান্দিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা খাতুন অভিযোগ করেন, আমার বয়স ৭২ বছর। দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। সকাল ৭টায় লাইনে দাড়াইছি।এখন ১০টায়ও ভোট দিতে পারছি না।
বিশ্বাস কেন্দ্রের প্রিজাইজিং অফিসার মো. আতিক উল্লাহ জানান, এ কেন্দ্রে পুরুষ ৯৯০, মহিলা ১০৩৫ নারী ভোটার রয়েছে। ছয়টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২০৬টি ভোট গ্রহণ হয়েছে। প্রতিটি ভোট গ্রহণে অনেক সময় চলে যায়।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, এখন পর্যন্ত কোন কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ এ অঞ্চলে এটিই প্রথম। ফলে কিছুটা বিড়ম্বনা হচ্ছে।
এদিকে শনিবার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হারং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের পাশে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী পাঞ্জাবি প্রতীকের বিল্লাল হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে উট পাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী নাজমুল হাসানের সমর্থকদের এই সংঘর্ষ হয়।
চান্দিনা থানার ওসি শামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ভোট কেন্দ্রে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আহতের বিষয়টি জানা নেই।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com