উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্য খামার যান্ত্রিকীকরণ করা হবে:মহাপরিচালক
বন্যা-উত্তর মৎস্য সম্পদের অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালা
প্রতিবেদক।।
চট্টগ্রাম বিভাগে বন্যা পরবর্তী সময়ে মৎস্য সম্পদের অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমান বলেছেন, মৎস্যজীবীরা বন্যাসহ নানান প্রতিকূলতার মধ্যে লড়াই করে টিকে আছে। মৎস্য খাতকে উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার পরিবর্তনের সাথে চিন্তা – ভাবনারও পরিবর্তন হয়েছে। বন্যা কবলিত চট্টগ্রাম বিভাগের প্রান্তিক মৎস্য চাষীদের সরকার ইতোমধ্যে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়ায় ঘোষণা দিয়েছে। বন্যা থাকাকালীন মৎস্য চাষীদের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি আদায় না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে খামার যান্ত্রিকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মৎস্য খামারিদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল যাতে কম নেয়া হয়- এ প্রস্তাবও বিবেচনাধীন রয়েছে। মৎস্য ল্যাব নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।মৎস্য খাত সংস্কারের পাশাপাশি খামারি ও চাষীদের মনোভাবও সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য অধিপ্তর আয়োজিত এ কর্মশালা শনিবার মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেন। তিনি কর্মশালার মূল ধারণাপত্র মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর দত্ত দাশ।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমানের পরিচালনায় মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগ অধিদপ্তর, বিভিন্ন জেলার মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও খামারিরা। সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোতাহার হোসেন মাহবুব।
জানা যায়,সারাদেশের এক তৃতীয়াংশ মাছ চট্টগ্রাম বিভাগে উৎপাদিত হয় এবং সারাদেশের মধ্যে মৎস্য উৎপাদনে কুমিল্লা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
সমগ্র অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক অশোক কুমার দাশ।