আমোদ ডেস্ক।।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে এইচএসসি তথা উচ্চমাধ্যমিকে মূল্যায়নের ফল। শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসির ফল মূল্যায়ন করে একটি বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ ফল তৈরি করা হলেও কিছু আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সেই আইনি ঝামেলা শেষ করে আগামী বৃহস্পতিবার এবারের ‘বিশেষ’ এইচএসসির ফল প্রকাশ করতে পারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মূল্যায়নের ফল তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সব ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার বা সর্বোচ্চ শনিবারের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে ফল। যেহেতু এটা অটোপাস তথা আপনাআপনি উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়, তাই এবারের এইচএসসির ফল প্রকাশ করতে একটি বিশেষ অধ্যাদেশের প্রয়োজন পড়ছে। পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি অধ্যাদেশের সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হবে আজ সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে এটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার জন্য নথি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন। সেটি হলেই ফল প্রকাশ করতে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে মূল্যায়নের ফল।
এর আগে ২৯ ডিসেম্বর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেনে, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশ করতে গেলে আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। অধ্যাদেশ জারির পর ফল প্রকাশ করা হবে। করোনার কারণে এবার বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল দেওয়া হচ্ছে। ফল নিয়ে যদি কোনো শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হন, তাহলে তিনি নিজ শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করতে পারবেন। তবে আশা করছি, ফল নিয়ে কেউ অসন্তুষ্ট হবেন না।’
এইচএসসির গ্রেড মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রস্তুত আছে। তবে অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি এখন কেবিনেট ও মন্ত্রণালয়ের। তবে এ কাজগুলো আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি। এরপর প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন, সেদিনই প্রকাশ হতে পারে ফল।’ তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার যদি প্রধানমন্ত্রী সময় দেন, তাহলে সেদিনই ফল প্রকাশ হতে পারে।
টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, ফল প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কোনো বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে চাইলে তাদের ফল এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় ওই বিষয়ে পাওয়া নম্বর গড় করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, কারো ক্ষেত্রে যদি মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে চাওয়ার বিষয়টি এসএসসি কিংবা জেএসসিতে না থাকে, তাহলে ওই বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়ের নম্বর গড় করে তার রেজাল্ট দেওয়া হবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com