একই ফ্ল্যাট দুইবার বিক্রি, আদালত পাড়ায় ঘুরছেন গ্রাহক
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা নগরীতে একই ফ্ল্যাট দুইবার বিক্রির অভিযোগে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এক গ্রাহক। বুধবার (৬ নভেম্বর) কুমিল্লার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলার বাদী কুমিল্লার সদর উপজেলার সাহেবনগর এলাকার মো. কাজীম আলীর ছেলে ছাদেক মিয়া। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে মামলার তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মাত্রা লিভিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জামাল তুষার, মাত্রা মোমেনা বিলাসের আবিদ উল্লাহর ছেলে মফিজুর রহমান কিরণ, আফসু ডেভেলোপারসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আকরামুল হক।
আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুর রহিম জানান, মাত্রা লিভিং ডেভেলাপারের একটি প্রকল্পে কুমিল্লা নগরীর ঠাকুরপাড়া এলাকায় মাত্রা মোমেনা বিলাসের ফ্ল্যাট কেনেন ছাদেক মিয়ার ছেলে নূরে জালাল রাজু। নূরে জালাল রাজু মাত্রা মোমেনা বিলাসের ২য়তলায় ৪৩লাখ ৮৮হাজার টাকা দামে ও ৭ম তলায় ৫১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা দামে ২টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। ইতোমধ্যে ৪১ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু নূরে জালাল রাজু মারা গেলে তার বাবা-মা ওয়ারিশ হিসেবে ফ্ল্যাট বুঝে নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু ডেভেলপার কোম্পানি নানান অজুহাতে টালবাহানা করতে থাকে। মামলার বাদী ছাদেক মিয়া কুমিল্লা জজকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুর রহিম ভুইয়ার কাছে আইনি সহায়তা চান। আইনজীবী ডেভেলপার কোম্পানিকে উকিল নোটিশ জারি করেন। বিষয়টি সমাধান না হলে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদী ছাদেক মিয়া জানান, আমার ছেলে নূরে জালাল রাজু মাত্রা মোমেনা বিলাসের ২য় ও ৭ম তলায় দুইটি ফ্লাটটি ক্রয় করে ৪১লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে আমি বকেয়া টাকা পরিশোধ করার ইচ্ছা প্রকাশ করি। ডেভেলপারদের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারি ছেলের মৃত্যুর পর ডেভেলপার কোম্পানি ফ্ল্যাটটি অন্যলোকের কাছে বিক্রি করে ফেলেছেন। ১ম আসামি ৩য় আসামিকে দেখান। পরে আমি টাকা বা ফ্ল্যাট কোনটাই পাচ্ছিনা বিধায় আদালতের আশ্রয় নিই। বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার আসামি ও আফসু ডেভেলোপারসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আকরামুল হক বলেন, উনি কোন ডকুমেন্টস থাকলে দেখাক। আমার সাথে উনার ছেলের বা তার পরিবারের কারই কোন লেনদেন নেই। জানিনা উনি কেন মামলা দায়ের করেছেন।