

প্রতিনিধি।।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় আড়াই হাজার প্রভাষকের পদোন্নতি আটকে গেছে। সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সব যোগ্যতা অর্জন করলেও ৩২তম ব্যাচ থেকে ৩৭তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাষক পদেই কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘ ১২ বছরেও তাদের পদোন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় রবিবার থেকে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।
কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ৩২তম ও ৩৩তম বিসিএস ব্যাচের প্রায় চার শতাধিক প্রভাষক চাকরিতে যোগদানের এক যুগ পরেও প্রথম পদোন্নতি পাননি। এছাড়া ৩৪তম বিসিএস ১০ বছর ৩৫তম বিসিএস ৯ বছর বছর এবং ৩৬তম বিসিএস ৮ বছর, ৩৭তম বিসিএস ৭ বছরে পার করলেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না। প্রভাষক হতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির লক্ষ্যে গ্রেডেশনভুক্ত কর্মকর্তার সংখ্যায় ৩২তম বিসিএসে রয়েছে ৫৪ জন, ৩৩তম বিসিএসে রয়েছে ৩৬১ জন, ৩৪তম বিসিএসে ৬৩১ জন, ৩৫তম বিসিএসে ৭৪০ জন ৩৬ বিসিএসে ৪৬০ জন, এবং ৩৭তম বিসিএসে ১৫৩ জন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের পদোন্নতি গত ১৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ পদোন্নতির জন্য চলতি বছরের ৪ জুন প্রথম দফায় ডিপিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেই বৈঠকের পর গত পাঁচ মাস পার হলেও পদোন্নতি দেয়া হয়নি। আত্তীকৃত শিক্ষকদের মামলার অজুহাতে এ পদোন্নতি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখে মন্ত্রণালয়।
পদোন্নতির আদেশ জারি না হওয়ায় আজ ১৬ নভেম্বর থেকে কুমিল্লাসহ সারাদেশের সকল সরকারি কলেজে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
বিসিএস শিক্ষা সমিতির সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাসুদ রানা খান বলেন- ‘শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকদের পদোন্নতি দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তবে মন্ত্রণালয় ডিপিসি করেছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রভাষকদের পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান হবে। শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদের নো প্রমোশন নো ওয়ার্ক কর্মসূচির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com