প্রতিনিধি।।
ইঁদুর দ্রুত বংশ বিস্তারকারী প্রাণী। এক জোড়া ইঁদুর অনুকূল পরিবেশ পেলে বছরে ৩ হাজার ইঁদুরের জন্ম দিতে পারে। একটি ইঁদুর প্রতিদিন তার শরীরের ওজনের ১০ গুণ পর্যন্ত খাবার নষ্ট করে। তার গর্তে ২০ কেজি পর্যন্ত ফসল লুকিয়ে রাখতে পারে। ইঁদুর ফসল ও সম্পদের অনেক ক্ষতি করে। প্রায় ৬০ প্রকার রোগজীবাণু বহন ও বিস্তার করে। ইঁদুরের ক্ষতিকর ভূমিকার কথা বিবেচনা করে ১৯৮৩ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ইঁদুর নিধন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) কুমিল্লা অঞ্চল, কুমিল্লা জেলা ও আদর্শ সদর উপজেলা কুমিল্লার উদ্যোগে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধন, সেমিনার ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান। মঙ্গলবার ডিএই কুমিল্লার উপ-পরিচালকের কার্যালয় প্রশিক্ষণ হলে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এবছর অঞ্চল পর্যায়ে সর্বোচ্চ ইঁদুর নিধনকারী ৩ জন উপসহকারী কৃষি অফিসার, ৩ জন কৃষক, ১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ১ টি উপজেলাকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে। সভাপতিত্ব করেন ডিএই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মোঃ জালাল উদ্দিন, ব্রি কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: রফিকুল ইসলাম, বিএডিসি কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোঃ নিগার হায়দার খান, কৃষি তথ্য সর্ভিস কুমিল্লার আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা মোঃ মুশিউল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক শাহনাজ রহমান। কারিগরি সেশন পরিচালনা করেন ডিএই কুমিল্লার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোঃ সিরাজ উদ্দিন হোসেন।