আমোদ ডেস্ক।।
২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় প্রান্ত থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এতে অংশ নেন। বৈঠক শেষে সচিবালয় ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সাধারণ ছুটি ১৪ দিন, এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিন পড়েছে ছয়দিন। আর নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি আটদিন, এর মধ্যে একদিন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়েছে।
চলতি ২০২০ সালে ২২ দিন সরকারি ছুটির মধ্যে আট দিনের ছুটি শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়েছে।
সাধারণ ছুটি- ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে আন্তর্জাতিক মে দিবস, ৭ মে জুমাতুল বিদা, ১৪ মে ঈদুল ফিতর, ২৬ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ২১ জুলাই ঈদুল আজহা, ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৩০ অগাস্ট জন্মাষ্টমী, ১৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৯ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।
নির্বাহী আদেশে ছুটি- ২৯ মার্চ শবে বরাত, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১০ মে শবে কদর, ১৩ ও ১৫ মে ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দিন, ২২ ও ২২ জুলাই ঈদুল আজহার আগে ও পরের দিন এবং ১৯ অগাস্ট আশুরা।
ঐচ্ছিক ছুটি মুসলিম পর্ব- ১২ মার্চ শবে মেরাজ, ১৬ মে ঈদুল ফিতর (ঈদের পরের দ্বিতীয় দিন), ২৩ জুলাই ঈদুল আজহা (ঈদের পরের দ্বিতীয় দিন), ৬ অক্টোবর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ১৭ নভেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম।
হিন্দু পর্ব- ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১১ মার্চ শিবরাত্রি ব্রত, ২৮ মার্চ দোলযাত্রা, ৯ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ৬ অক্টোবর মহালয়া, ১৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ২০ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৪ নভেম্বর শ্যামাপূজা।
খ্রিস্টান পর্ব- ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ১ এপ্রিল পূণ্য বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল পূণ্য শুক্রবার, ৩ এপ্রিল পূণ্য শনিবার, ৪ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)।
বৌদ্ধ পর্ব– ২৮ জানুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ২৩ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২০ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা) এবং ২০ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি: ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যাবে।
তবে প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করা যায়।
যে সব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এই ছুটি ষোষণা করবে।
একইভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উপলক্ষে দুই দিনের ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসের ছুটি সাধারণ ছুটির অন্তর্ভুক্ত।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com