এক নজরে শামসুননাহার রাব্বীর বর্ণাঢ্য জীবন

অফিস রিপোর্টার।।
শামসুননাহার রাব্বী। কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলীতে ১৯৪৩ সালের পহেলা নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা গোলাম মহিউদ্দীন হায়দার ও মাতা মমতাজ বেগম। তার বংশের ৪র্থ পুরুষ ছিলেন আলা সাহেব যিনি ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মুসলিম জেলা জজ ছিলেন। ১৯৫৭ সালের ২০ অক্টোবর সাপ্তাহিক আমোদ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর সঙ্গে শামসুননাহার রাব্বীর বিয়ে হয়। ১৯৫৯ সালে শামসুননাহার রাব্বী সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে ইউরোপ সফর করে এসে ফজলে রাব্বীর সঙ্গে যুগ্মভাবে ‘ইউরোপে ৩৮ দিন’ শিরোনামে ভ্রমণ কাহিনী প্রকাশ করেন। ১৯৭৯ সালে হজ নিয়ে লেখেন ‘মহামিলনের মহামেলায়’ নামে একটি গ্রন্থ। ১৯৮৪ সালে ‘ব্যবধান’ নামে একটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশ করেন। ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফর করে ‘প্রাচ্য থেকে প্রতীচ্য’ নামে একটি ভ্রমণ কাহিনী গ্রন্থ প্রকাশ করেন। তাঁর পাঁচ দশকের বিভিন্ন লেখা নিয়ে প্রকাশ করেন ‘ভালবাসার পাঁচ দশক’ নামের আরেকটি গ্রন্থ। এছাড়া ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত দুই বছর মাসিক ‘ময়নামতি’ নামে একটি সাহিত্যপত্র সম্পাদনা করেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন নানা পুরস্কার। ১৯৭৪ সালে যমুনা সাহিত্য গোষ্ঠী তাঁকে ‘বিদ্যা বিনোদিনী’ খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৯৭ সালে তিনি ‘অনন্যা শীর্ষ দশ’ সম্মাননা পদকে ভূষিত হন। তার মামা খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ মোবাশ্বের আলী। শৈশবে তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। এছাড়া মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর সঙ্গে বিয়ের পর তার অনুপ্রেরণায় লেখালেখিতে আসা। শেষ দিকে আমোদ উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। শামসুননাহার রাব্বী পরিবারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টায় শামসুননাহার রাব্বী যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মৃতুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জাতীয় রোগে ভুগছিলেন।
এক ছেলে, তিন মেয়ে, দুই নাতনি ও সাত নাতিসহ স্বজনরা শামসুননাহার রাব্বীর আত্মার মাগফেরাতের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য – ১৯৫৫ সালে তার স্বামী মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী কুমিল্লা থেকে আমোদ পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করেন। পত্রিকাটি ৬৭ বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।