এক লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

আমোদ ডেস্ক।।

বাংলাদেশে চলমান ৫৫টি প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক এক হাজার ৫০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ আনুমানিক এক লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

 

 

সংস্থাটির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন গতকাল সোমবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বিদায়ি সাক্ষাতে এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

এসময় মার্সি টেম্বন ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বাংলাদেশে অর্থায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। মার্সি টেম্বন পদোন্নতি পেয়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দিতে শিগগিরই বাংলাদেশ ছাড়বেন।

মার্সি টেম্বন বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ঋণ সহায়তার দিক থেকে এগিয়ে। গত তিন বছরে বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৮০ লাখ ডলার ছাড় দিয়েছে বিশ্বব্যাংক । আমরা নতুন করে ফের সহযোগিতা চুক্তিতে যাচ্ছি। এ চুক্তিতে বাংলাদেশকে সব রকম সহায়তা করা হবে। বাংলাদেশকে নতুন ৫৫টি প্রকল্পে এক হাজার ৫০০ কোটি ডলার অর্থায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্বব্যাংক।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমি আপ্লুত। কোভিডকালীন থেকেই বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। যেহেতু আমি বিশ্বব্যাংকের বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকব, সেহেতু আমার প্রতিটি বোর্ড সভায় ভূমিকা থাকবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের কোনো বিষয় বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় উঠলে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘এ দেশে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ ও সরকারের নীতি-কৌশলের কারণে তিন ধরনের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, বিশেষ করে আর্থ-সামাজিক খাতে। অষ্টম-পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে এ দেশ মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়ার পথে রয়েছে। গত তিন বছরে এ দেশের ধারাবাহিক উন্নয়নে অবদান রাখায় আমি গর্বিত।’

 

এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক  কেবল ঋণসহ সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে আর বাংলাদেশ কেবল নিচ্ছে বিষয়টা এমনটা না। বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের দ্বিপাক্ষিক এ সম্পর্কে উভয়ই লাভবান হচ্ছে। মার্সি টেম্বন উন্নয়ন দেখে গেলেন। তার সামনেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরবে। প্রবাসী বৃদ্ধি, আমদানিতে চাপ কমে আসাসহ নানা অর্থনৈতিক সূচকে ইতিবাচক ধারার দেখা যাওয়ায় এমন আশা করা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন