‘এখনও কাঁদছে হিরু-হুমায়ুনের স্বজনরা’
আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
হিরু ও হুমায়ুনকে গুম করা হয়েছে। তারা ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রাণ। তাদের ছেলেমেয়েরা বাবার জন্য কাঁদছে। বোনেরা কাঁদছে ভাইয়ের জন্য। কুমিল্লা নয় সারা বাংলাদেশে শত শত বিএনপি নেতাকর্মীকে গুম খুন করা হয়েছে। এদের বিচার এদেশের মানুষ করবে। কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে গুম, খুন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
রোববার (৯ ডিসেম্বর) কুমিল্লা নগরীর ভিক্টোরিয়া কলেজ সড়কে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। এদিকে বিএনপির মানববন্ধন চলাকালীন সময় নগরীর প্রাণকেন্দ্রে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত বিএনপির ২৭ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ছেলেকে না পেলে ভাইকে, ভাইকে না পেলে আরেক ভাইকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। দেশে বিদেশের কেউ এই সরকারকে চায় না।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি উল্লেখ করে নেতাকর্মীরা বলেন, সরকার দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে এই অরাজকতা করাচ্ছে। রাতে নেতাকর্মীদের বাড়ি চিনিয়ে দেয়ার জন্য গ্রামে গ্রামে লোক নিয়োগ করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ঠিক মতো ঘুমাতে পারে না। গায়েবি মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. আলী আক্কাস, যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল কাইয়ুম, মাহবুব চৌধুরী, মোস্তফা জামান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান ছুটি, মামুন মজুমদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড. তাইফুর আলম প্রমুখ।
উল্লেখ্য-২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর লাকসাম থেকে কুমিল্লা আসার পথে সাবেক এমপি লাকসাম উপজেলা বিএনপি সাইফুল ইসলাম হিরু ও লাকসাম পৌরসভা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজ গুম হয়।