মাহফুজ নান্টু ।।
গত মঙ্গলবার পর্যন্ত কুমিল্লার বিভিন্ন হাটে পশু থাকলেও ক্রেতা ছিলো না। বুধবারে হাটে পর্যাপ্ত পশু ছিলো। দাম কম পেয়ে হতাশায় ছিলেন পশু ব্যবসায়ী ও গৃহস্থরা। তবে মাত্র একদিনের ব্যবধানে পশুর দাম বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার থেকে কুমিল্লার হাটে পশুর সংকট দেখা দিয়েছে। পশু না পেয়ে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে অনেককে। শুক্রবারও বাজারে একই অবস্থা। হাটে ক্রেতা আছে পশু নেই। কুমিল্লায় পশুর জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ, বুড়িচংয়ের শংকুচাইল, ফকিরবাজার, ছয়গ্রাম, ভরাসার, ষোলনল বাবুর বাজার, আদর্শ সদর উপজেলার বানাশুয়া, চাঁনপুর, নেউরা, বিবির বাজার, চকবাজার ঘুরে দেখা যায় হাটে ক্রেতা আছে পশু নেই। জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও একই অবস্থা।
কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলার বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলের পরে হাটে পশু শেষ হয়ে যায়। শুক্রবার হাটে পশু নেই।
ব্যাংকার কামাল হোসেন জানান, গরু কিনতে বের হয়েছেন। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চারটি বাজার ঘুরেছেন। কোন হাটেই মনের মত পশু পাননি। যে কয়েকটা গরু দেখেছেন তার দাম দ্বিগুণের বেশী চাওয়া হয়েছিলো। পরে সেগুলোও বিক্রি হয়ে যায়।
বগুড়ার গরু ব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, তিনি গত ১৮ বছর যাবৎ তিনি আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর গাউছিয়া হাটে পশু বেচাকেনা করেন। এ বছর ১৮ টি গরু এনেছেন হাটে। গত বুধবার কেনা দামে ৮ টি গরু বিক্রি করেছেন। তেমন কোন লাভ হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলেই বাকি ১০টি গরু বিক্রি হয়ে যায়। গড়ে প্রতিটি গরু ১৫ হাজার টাকা মুনাফা হয়েছে বলে হাসির ঝিলিক দেখা গেলো কফিল উদ্দিনের মুখে। হাটে পশুর অভাবে ক্রেতারা ছুটছেন বিভিন্ন হাটে।
একটি সূত্রমতে,শুধু কুমিল্লা নয় ঢাকা,নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরুর সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের ২০টি জেলা বন্যা কবলিত। সেখান থেকে গরু আসেনি। এছাড়া করোনার কারণে ভারতীয় গরুও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশে ঢুকতে পারেনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন,আমাদের লোকজন হাটে রয়েছে। সকালে পশুর কিছু সংকট ছিলো। পাইকাররা আসতে দেরি হয়েছে। বিকালে পর্যাপ্ত গরু এসেছে। গরুর সংকট হবে না।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com