এলজিআরডি মন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে আড়াইগুণ
আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের পাঁচ বছরে আয় কমেছে তবে সম্পদ বেড়েছে আড়াই গুণ। ২০১৮সালে মোট সম্পত্তির মূল্য ছিলো ৪৭কোটি ৩৮লাখ ৮৪হাজার ২৩৬টাকা। আয় চার কোটি ৩৮ লাখ পাঁচ হাজার ২২১ টাকা। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির মূল্য ১১৮ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯২৮ টাকা। তার বাৎসরিক আয় চার কোটি ১৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৯৯ টাকা।
তিনি কুমিল্লা-৯ (লাকসাম- মনোহরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। তার নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সালে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তার বাৎসরিক আয় চার কোটি ১৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৯৯ টাকা। এবছরের হলফনামায় তার সবচেয়ে বেশি আয় ছিল বাড়ি, দোকান, এপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে এক কোটি ৬৯ লাখ ৯৩৯ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৭৭ টাকা। এদিকে ২০১৮ সালে আয় ছিল চার কোটি ৩৮ লাখ পাঁচ হাজার ২২১ টাকা। ওই বছর সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে দুই কোটি ৯৪ লাখ পাঁচ হাজার ৩৩১ টাকা। বাড়ি, দোকান, এপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে আয় করেছেন ২২ লাখ ৬৫ হাজার ১৩২ টাকা।
বর্তমান হলফনামায় তার অস্থাবর সম্পত্তি ৯৭ কোটি ১৩ লাখ তিন হাজার ৩৬৪ টাকা। যার মধ্যে ৮০ কোটি টাকার শুধু বন্ড আছে ও পাঁচ কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার ২৩০ টাকার শেয়ার। মন্ত্রীর নগদ টাকার পরিমাণ আট লাখ ৫২ হাজার ৭৭০ টাকা। স্থাবর সম্পত্তি ২১ কোটি ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৪ টাকার। যার ২০ কোটি চার লাখ ৭৫ হাজার ৬১২ টাকা মূল্যের আছে বাণিজ্যিক দালান, বাড়ি, এপার্টমেন্ট, চা বাগান, রাবারবাগান, মৎস্যখামার ইত্যাদি। সব গুলোর দাম অর্জনকালীন সময়ের। কৃষি জমি আছে এক কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ৯২৫ টাকার। তার মোট সম্পত্তি ১১৮ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯২৮ টাকা।
২০১৮ সালের হলফনামায় উল্লেখ করেন, মন্ত্রীর তৎকালীন অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২৮ কোটি ৩৬ লাখ ৯২ হাজার ৯৩১ টাকার। ওই সময় বন্ড ছিল তিন কোটি ৮২ লাখ টাকার। শেয়ার ছিল ১৬ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৩০ টাকার। মন্ত্রীর পরিবহন ছিল এক কোটি ৮৯ লাখ চার হাজার ৩৪৪ টাকার। মোট সম্পত্তি ছিলো ৪৭কোটি ৩৮লাখ ৮৪হাজার ২৩৬টাকা।