কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের শঙ্কা

আমোদ ডেস্ক।।

দীর্ঘদিনের সেশনজটের ঝক্কি কাটিয়ে যখন স্বাভাবিক রূপে ফিরছিলো ক্যাম্পাসগুলো, তখন আবারো করোনার ছোবলে বদলে যেতে পারে অনেক সমীকরণ। করোনা মহামারি কেটে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পরবর্তী সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। ফলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ওপর নির্ভর করছে সেশনজটের বিষয়টি।

শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও সেশনজটের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

শুরুতে দুটি কৌশল নেয়ার কথা বলছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একটি চলতি সেমিস্টারের পরীক্ষা ব্যাচ ধরে নিয়ে পরের সেমিস্টারে তুলে রাখা। আরেকটি অনলাইনে পরের সেমিস্টারের শ্রেণি-কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনলাইন ক্লাসে অনীহা ছিল। তবুও ইউজিসির চাপাচাপিতে চলতি মাস থেকে তারা অনলাইন ক্লাস শুরু করে।

এদিকে দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ই অনলাইন ক্লাস শুরু করতে পেরেছে। স্বায়ত্তশাসিত ও ঐতিহ্যবাহী ঢাকা, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ক্ষেত্রে অন্যদের পথ দেখাতে পারেনি।

গ্রাম্যঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেটের গতি কম থাকার পাশাপাশি খরচ বেশি হওয়ায় ও ডিভাইসের অভাবসহ সংগত কারণে অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না। ফলে সেশনজট নিরসনে এই অনলাইন ক্লাস কতোটুকু সহায়ক হবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এ অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলছেন, আমরা চার থেকে ছয় মাসের সেশনজটের কবলে পড়তে পারি। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ অন্যান্য সময় অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রসাশন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, ভিসি বিরোধী আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনই সেশনজট রয়েছে। করোনার কারণে তা আরও ব্যাপক হবে। তবে উত্তরণের পথ খুজছি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, শুরুতে আমরা অনলাইন ক্লাসের পক্ষে ছিলাম না। কিন্তু কত দিন আর বসে থাকা যায়। আমরা মাত্রই শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক ভালো। ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য, নেটওয়ার্কের সমস্যাগুলো আশা করছি সরকার শিগগিরই সমাধান করবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান বলেন, করোনায় অনার্স ফাইনাল, মাস্টার্স ফাইনাল, ডিগ্রি দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষ এবং মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আটকে গেছে। কলেজগুলো যাতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে সে জন্য একটা উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা।