এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চাকরি বাঁচাতে লকডাউনকে উপেক্ষা করেই ময়মনসিংহের নেত্রকোণা থেকে মাইক্রোবাসে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন ১৩ যাত্রী। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণহারা মাইক্রোবাসটি ধাক্কা খায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে। এতে শিশু ইভা আক্তার নিহত হওয়াসহ আহত হন অপর ১২ জন। হতাহতরা চট্টগ্রামে গার্মেন্টে কর্মরত ও তাদের পরিবারের সদস্য। মর্মন্তুদ এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা এলাকার।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসব উপজেলা এলাকার খাড়েরা নামক স্থানে দুর্ঘটনায় নিহত শিশু ইভা আক্তার (৮) নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মাইক্রোবাসের যাত্রীরা চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টের অপারেটর ও হেলপার এবং তাদের পরিবারের সদস্য। ঈদের ছুটি কাটিয়ে চাকরি বাঁচাতে লকডাউনকে উপেক্ষা করে বুধবার রাতে নেত্রকোনা থেকে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করে। বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে কসবা উপজেলা এলাকায় পৌঁছার পর নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময় উপর খাড়েরা নামক স্থানে মহাসড়কের পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মাইক্রোবাসটি সজোরে ধাক্কা খায়। এতে মাইক্রোবাসে থাকা ১৩ জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় শিশু ইভা মারা যায়। অপরদিকে আহত ১২ জনের মধ্যে সিরাজ মিয়া (৩২), পারুল আক্তার (২৮), রিনা আক্তার (২৭), তাহমিনা আক্তার (৩২), নিহত ইভার মা ইয়াছমিন আক্তার (২৮), তরিকুল ইসলাম (২৮), রাজেশ মিয়া (৩৪), এবং শারমিন আক্তার (২৬) নামের আটজনকে উদ্ধার করে আড়াইশ' শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া নিহত ইভার বাবা ইব্রাহীম মিয়া (৩২) সহ অন্যদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। তারা সকলেই নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা।
কসবা থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভুইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতার হতাহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। নিহতের লাশ পাঠানো হয়েছে মর্গে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে।'