কাঁদছে লালবাগ গ্রাম!
মাহফুজ নান্টু ।।
কাঁদছে লালবাগ গ্রাম। কে কাকে সান্ত্বনা দিবেন, সবার চোখে অশ্রু। গ্রামের প্রতি পাড়ায় স্বজন হারানোর মাতম। রোববার বিকেলে সড়ক দুর্ঘটনায় ওই গ্রামের তিনজন স্কুল ছাত্রসহ চারজন নিহত হন। সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ গ্রামে সোমবার জানাযার নামাজ শেষে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান বলেন, সোমবার সকাল ৯ টায় মোর্শেদ ও ফয়সালের জানাযার নামাজ এবং সকাল ১০ টায় হয় শাহিন ও সাকিবের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নিহত চারজনের মধ্যে একজন আলী আহমেদের ছেলে পিকআপ ভ্যান চালক মোর্শেদ আলম। তার এক ছেলে এক মেয়ে আছে। বাবা হারিয়ে ছোট এই দুই অবুঝ শিশুদুটি কান্না করছে। দাফনের আগে যখন মরদেহ বাড়ি থেকে কবরস্থানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন মোর্শেদের মায়ের আহাজারিতে উপস্থিত অনেকেই কেঁদেছেন। এমন দৃশ্য নিহত অন্যজনের বাড়িতেও দেখা গেছে। অন্য নিহতরা হলেন সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে স্কুল ছাত্র ফয়সাল, মোহন মিয়ার ছেলে শাহীন ও শাহ আলম ভেন্ডারের ছেলে সাকিব।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন, রোববার বিকেলে সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে (অনুর্ধ্ব-১৭) পূর্ব জোড়কানন বনাম বারোপাড়া ইউনিয়নের খেলা ছিল। দু’দলের খোলোয়াড় মাঠে। আমরা খেলা শুরু করবো ঠিক তার কিছুক্ষণ আগে শুনি একটি পিকআপ ভ্যান সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পূর্ব জোড়কাননের কয়েকজন সমর্থক একটি পিকআপ ভাড়া করে খেলা দেখতে ঢাকা- চ্ট্টগ্রাম মহাসড়কের জোড়কানন এলাকায় দিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যানের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে চালকসহ চারজন মারা যান। মারা যাওয়া প্রত্যেকের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রাথমিক সহায়তা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে সদর দক্ষিণ উপজেলা মাঠে বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা দেখতে যাওয়ার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপের সংঘর্ষে তিন স্কুলছাত্রসহ চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে আরও ১৫ জন।