কাউন্সিলর আলমগীরের ত্রাসের রাজত্ব

 

# যুবলীগের পদ পেয়ে বেপরোয়া

# দোকান থেকে মালামাল ক্রয় না করলে দিতে হয় চাঁদা

আবু সুফিয়ান রাসেল।।
কুমিল্লা নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডে ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন। তার স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলে হামলা ও মামলার হুমকিতে রাখতেন বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। নতুন ভবনের নির্মাণ সামগ্রী কাউন্সিলরের ভাইয়ের দোকান থেকে ক্রয় না করলে চাঁদা আদায় করতো তার বাহিনী। সে আগে বিএনপি করতো। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে পায় মহানগর যুবলীগের লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কের পদ। এরপর থেকে সে বেপরোয়া হয়ে উঠে।


২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. মাহবুব বলেন, কাউন্সিলর আলমগীর আগে আমাদের দলের রাজনীতি করতো। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। ভয়ে কেউ কথা বলে না। সে তিন বছর আগে আমার বেকারি, বিশ্বরোড অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ভাংচুর করে। এভাবে সে অসংখ্য পরিবারের ক্ষতি করেছে।
কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের জেঠাতো ভাই মহিউদ্দিন বলেন, তার প্রধান হাতিয়ার হলো মামলা। বিএনপির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক পথ চলা শুরু। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সে যোগ দেয়। ২০১৭ সালের মে মাসে কাউন্সিলর আলমগীরের নেতৃত্বে ওয়ার্ড যুবলীগ অফিসে হামলা চালানো হয়।


কাউন্সিলরের প্রতিপক্ষ যুবলীগ নেতা নিহতের ভাই আলাল হোসেন  বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করি। উৎসবে কাউন্সিলরকে আমন্ত্রণ না করাতে সে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ হামলা করে। দীর্ঘ দশ বছর সে এ ওয়ার্ডে অনিয়ম করে আসছে। কেউ কথা বললে, হয়তো হামলা নয়তো মামলা করবে তার লোকজন। নতুন ভবন তৈরি করলে তাদের চাঁদা দিতে হয়। কাউন্সিলরের বড় ভাই গুলজার হোসেনের কনস্ট্রাকশন ও ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনের টাইলস দোকান আছে। যদি তার ভাইদের দোকান থেকে বিল্ডিং এর মালামাল ক্রয় করে তাহলে চাঁদা দিতে হয় না। আবার তার আরেক ভাই ইঞ্জিনিয়ার তফাজ্জল হোসেন। যে কোন নতুন ভবনের ডিজাইন করাতে হলে তার মাধ্যমে করাতে হয়। তাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এ হত্যার যথাযথ বিচার চাই।


কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর আলগমীরসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছি। তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিজ্ঞাপন