অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি মো.আশিকুর রহমান রকিকে নির্দোষ দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) কুমিল্লা নগরীর একটি বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রকির স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। এ সময় রকির বাবা আনোয়ার হোসেন, মা রানু বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের বাসা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিকোনা এলাকায়।
বক্তব্যে রকির স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমার স্বামী আশিকুর রহমান রকি নগরীর রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী। সেখানে রকি স্টোর নামে তার কসমেটিক্স দোকান রয়েছে। কাউন্সিলর সৈয়দ মো.সোহেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরাও শোকাহত। আমরা হত্যাকারীদের কঠোর ফাঁসি চাই। কিন্তু আমরা সকলেই অবাক হয়েছি এই হত্যা মামলায় আমার স্বামীকে আসামি করাতে। আমার শশুরের পরিবার বা আমার স্বামীর সঙ্গে নিহত সৈয়দ মো.সোহেলের কোন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিরোধ নেই। ঘটনার সময় আমার স্বামী তার বাবাসহ রাজগঞ্জ বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। সেখানকার ব্যবসায়ীরা সকলেই তাকে বাজারে দেখেছেন। এছাড়া বাজারের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করলেই বিষয়টি পরিস্কার হওয়া যায়। একটি মহল ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে।
তিনি বলেন, আমার স্বামীকে আসামি করায় র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এই সুযোগে একটি মহল আমাদেরকে এলাকা ছাড়া করেছে। সোমবার আমাদের ঘর বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আমরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ বিষয়ে সোমবার কোতোয়ালি থানায় আমার শাশুড়ি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমি প্রসাশনের কাছে আমার স্বামীর বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করি। আর প্রকৃত হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
রকির বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারের শত শত মানুষ দেখেছে ঘটনার দিন এবং ঘটনার পরদিনও রকি বাজারে দোকানে ছিলো। মামলার খবর শুনে সে ভয়ে লালমনিরহাটে পালিয়ে যায়। শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্যই তাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলাও নেই। রকি আমার একমাত্র ছেলে, আমি তার মুক্তি চাই। রকির সঙ্গে কাউন্সিলর সোহেল ও মামলার বাদী রুমন ভাইয়ের অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু এরপরও অন্যায়ভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এ সময় মামলার বাদী রুমনের সঙ্গে থাকা রকির একাধিক ছবি দেখান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো.রুমন বলেন, পুলিশ মামলার তদন্ত করছে। তদন্তেই বের হবে রকি দোষী নাকি নির্দোষ। আমি এখন বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনওয়ারুল আজিম বলেন, মামলার তদন্তে চলছে। তদন্তে সকল সত্য বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com