অনলাইন ডেস্ক।।
কিয়ামতের দিন হজরত মুহাম্মদ(সা.) উম্মতদের এই পানি পান করানো হবে। হজরত মুহাম্মদ(সা.) বলেছেন, আমার উম্মতেরা কিয়ামতের দিন এই হাউজের পানি পান করতে আসবে। এই হাউজে রয়েছে তারকার মতো অসংখ্য পানপাত্র (গ্লাস)।
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, সামুরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক নবীরই একটি হাউজ আছে। কার হাউজে কত বেশি পিপাসার্তের আগমন হবে এই নিয়ে তাঁরা পরস্পর গৌরব করবেন। আমি আশা করি আমার হাউজেই সর্বাধিক সংখ্যক লোকের আগমন ঘটবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৪৬)
এই হাদিস দ্বারাও বোঝা যায় যে যারা সুন্নতের অনুসারী বা প্রকৃত মুমিন, তারা হাউজে কাউসারে নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, আমার হাউজ ‘আদান’ থেকে ‘আয়লা’ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এর পানি দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। এর পাত্র সংখ্যা আকাশের তারকারাজির সমান। যে কেউ এই হাউজ থেকে এক ঢোক পানি পান করতে পারবে, সে আর কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না। দরিদ্র মুহাজিররা সর্বপ্রথম এর পানি পানের সৌভাগ্য লাভ করবে, যাদের মাথার চুল উষ্কখুষ্ক, পোশাক ধুলি মলিন, যারা ধনবান পরিবারের মেয়েদের বিবাহ করতে পারেনি এবং যাদের আপ্যায়নের জন্য ঘরের দরজাসমূহ খোলা হয়নি। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪৩০৩)
যারা দ্বিনের নামে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করে এবং নিজেদের পার্থিব স্বার্থে সেগুলো দ্বিন বলে চালিয়ে দেয়, ইবাদত মনে করে, মানুষকে বিদআত করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে তারা হাউজে কাউসারের পানি থেকে বঞ্চিত হবে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, আমি তোমাদের আগে হাউজের কাছে গিয়ে হাজির হব। আর (ওই সময়) তোমাদের কতগুলো লোককে অবশ্যই আমার সামনে ওঠানো হবে। আবার আমার সামনে থেকে তাদের আলাদা করে নেওয়া হবে। তখন আমি বলব, হে প্রতিপালক! এরা তো আমার উম্মত। তখন বলা হবে, তোমার পরে এরা কী নতুন কাজ করেছে তা তো তুমি জানো না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৭৬)
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com