অফিস রিপোর্টার।।
রুমা আক্তারের বাবা-ভাই কেউ নেই। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ে হয় তার। এদিকে স্বামী মাসুম অপ্রকৃতস্থ। ওই ঘরে দুই সন্তান হয় রুমার। কিন্তু স্বামী সুস্থ না হওয়ায় বাধ্য হয়েই গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউপির দুর্গাপুরে চলে আসেন তিনি। সেখানে ভাঙাচোরা একটি ঘরে দুই মেয়ে ও বোনসহ থাকতেন তিনি। বুধবার স্কুলে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয় তার বড় মেয়ে মীম। মীমের মৃত্যুতে পাগলপ্রায় মা রুমার কান্না থামছে না।
রুমা আক্তার বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘মাইনষের বাড়িতে কাম কইরা মাইয়ারে খাওয়াইতাম। আমার স্বামী নাই, বাবা নাই, ভাইও নাই রে। আমি কারে নিয়া থাকমু মা (মীম) কইয়া যাও রে। আমার এত কষ্টের মাইয়া কই পামু রে।’ রুমা আক্তার কেঁদেই চলেন। তার ফাঁকে মীমের কবরের জন্য মাপ নিয়ে যায় এক প্রতিবেশী।
উল্লেখ্য-বুধবার সাড়ে ১১টার সময় মহানগর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। তারা সবাই দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com