কালো টুপিতে শনাক্ত মা ছেলের খুনি!

আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক প্রবাসীর ঘুমন্ত স্ত্রী-পুত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) গভীর রাতে পৗরসভার পাঁচড়া বেপারী বাড়িতে এঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। নিহতরা হলেন, নিপা আক্তার (২৭) ও তার আট বছর বয়সী শিশুপুত্র আলী আহসান মুজাহিদ। নিপা আক্তারের স্বামী আনোয়ার হোসেন দুবাই প্রবাসী। একটি কালো টুপির সূত্র ধরে অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের ভাসুরের দুই ছেলেকে আটক করেছে।

inside post


নিহত নিপা আক্তারের পিতা জালাল আহমেদের বলেন, আনোয়ার হোসেনের সাথে তার ভাই মীর হোসেনের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে মীর হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ আল শাহেদ এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টায় নিপা আক্তার ছেলে আলী আহসান মুজাহিদকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মামা শ্বশুর আজিজুল ইসলামের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। ধারণা করা হচ্ছে, এ সুযোগে হত্যাকারী ঘরের ভিতর প্রবেশ করে নির্মাণাধীন টয়েলেটে লুকিয়ে ছিল। রাতে ঘরে ফিরে নিপা ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আনুমানিক আড়াইটার সময় কাঠের লাকড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাদের গুরুতর জখম করেন। এসময় চিৎকার শুনে লোকজন এসে মুজাহিদ ও তার মা নিপা আক্তারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার নিপাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলী আসান মুজাহিদকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অপরাধী শাহেদ পালিয়ে গেলেও পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। যারা খুন হয়েছেন তাদের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে একটি কালো টুপি উদ্ধার করা হয়। ওই টুপির সূত্র ধরেই অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়।
এ ছাড়াও পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অপরাধী নিজে স্বীকার করেছে সে কোথায় কিভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সে একটি বড় কাঠের টুকরো দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের মাথা ও মুখের ওপর আঘাত করে। জোরে আঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যান নিপা। পরে তার ছেলে মারা যান। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের ভাই মীর হোসেনের দুই ছেলে মঈনুল হাসান শুভ (২২) ও আবদুল্লাহ শাহেদকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত পরে জানাবো।

আরো পড়ুন