‘কীটনাশক প্রয়োগে নিয়ম না মানায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন কৃষক’

প্রতিনিধি।।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্যমতে বাংলাদেশে বিভিন্ন জটিল রোগসহ মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী পেশায় কৃষক। এর অন্যতম কারণ হলো কৃষকরা সার কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম কানুন মানছেন না। যার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সকল শ্রেণী পেশার মানুষ বিভিন্ন নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় পরিবেশ বান্ধব কৃষি উৎপাদন বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। কীটনাশকের নিরাপদ ব্যবহার এবং জৈবিক কৃষি কার্যক্রম সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।
‘বাংলাদেশে অধিক বিপজ্জনক বালাইনাশক এবং রাসায়নিকের উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য সক্ষমতা’ বিষয়ে প্রশিক্ষণে বক্তারা এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর(ডিএই), কুমিল্লা অঞ্চল, কুমিল্লা জেলা ও হর্টিকালচার সেন্টার, কুমিল্লার প্রশিক্ষণ হলে তিনটি সেশনে ১৯এপ্রিল উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আজিজুর রহমান।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তায় গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটির আর্থিক সহযোগীতায় এবং কীটতত্ত্ব বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবায়নে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
যত্রতত্রভাবে ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ, নিয়ম না মেনে কীটনাশক স্প্রে করা, শাক-সবজিসহ নানা ফসলে কীটনাশক প্রয়োগের পর নির্দিষ্ট সময় পার না করে ফসল সংগ্রহ, জৈব সার প্রয়োগ না করে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্য রাখেন, ডিএই কুমিল্লা জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আইউব মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের সংস্থাপন ও উন্নয়ন শাখার উপপরিচালক কৃষিবিদ শাহনাজ রহমান। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. গোপাল দাস, প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন ও প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, ডিএই, কুমিল্লার অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য উৎপাদন)কৃষিবিদ শেখ আজিজুর রহমান।
