কুবিতে বিবাহিত বির্তকিতদের নিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মহিলা আবাসিক হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের কমিটি ঘোষণা করেছে শাখা ছাত্রলীগ। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগের কর্মী থাকতে পারবে না বলা হলেও কমিটিতে সভাপতি পদ পাওয়া ইসরাত জাহান জেরিন বিবাহিত বলে জানা গেছে। সাধারণ সম্পাদক অপর্ণা দেবীর বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌসকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে। একই ঘটনায় অভিযুক্ত কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ পাওয়া জিনাত সুলতানা ইভা ও সিসিলি জামানও।
এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ইসরাত জাহান জেরিন, অর্পণা দেবীসহ কয়েকজন সেসময়কার ডাইনিং ম্যানেজার লিপি আক্তারকে রুমে নিয়ে সাউন্ড বক্সে উচ্চ স্বরে গান বাজিয়ে মারধর করেন। কমিটিতে পদ পাওয়া অন্যান্যরা হলেন- সহ সভাপতি কনক ইসলাম, মার্জিয়া সুলতানা, চৈতি রাণী বৈদ্য, শেফা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জান্নাত, কাজী ফাইজা মেহজাবিন, চৈতি চাকমা, আতেফা লিয়া এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রিফা সাদিয়া ভাবনা, তাওহীদা সোনালী ও আনিকা বুশরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হলের এক কর্মী বলেন, হলে যারা অরাজকতা করে আসছে, তারাই পদ-পদবি পেয়েছে। এখন তাদের নৈরাজ্য আরও বেড়ে যাবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন তাদের ভয়ে সর্বদা তটস্থ থাকবে।
নতুন কমিটিতে প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া এক নেত্রী বলেন, বিয়ে করেও যদি সভাপতি হওয়া যায়, তাহলে রাজনীতি করার কী দরকার। নতুন কমিটিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে বরং অযোগ্য ও বিভিন্ন অপকর্মে অভিযুক্তদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। এদের কারণেই ছাত্রলীগের দুর্নাম হয়।
বিবাহিতকে সভাপতি মনোনয়নের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ঘটনার সত্যতা ক্ষতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে অভিযুক্তদের পদ দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি বলেন, একসাথে চলাফেরা করতে গেলে দু-একটি অঘটন ঘটেই। তবে সবার সাথে সমন্বয় করেই কমিটি দেওয়া হয়েছে।