প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে(কুবি) দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। এরপর শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপাচার্যর্ প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, শেখ রাসেল দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), শিক্ষক সমিতির সভাপতি, ডিন, প্রক্টর, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতাসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শিশু রাসেলকে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে পুরো বাঙালি জাতিকে কলংকিত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা তা পারেনি। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জেগে উঠেছে, বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার ও শিশু রাসেল হত্যা বাঙালি জাতির জন্য এক ট্রাজেডি। আজ যারা দেশে-বিদেশে গিয়ে মানবাধিকারের কথা বলেন, নালিশ করেন শেখ রাসেল হত্যার সময় কোথায় ছিলেন তারা? তারা কি জানে শিশু হত্যা মানবাধিকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট পন্থায় লঙ্ঘিত হয়। আজ আবার যে সব অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। তাদের সে ইচ্ছে পূরণ হবে না। সভায় সভাপতিত্ব করেন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ। এর আগে গত সোমবার বিকালে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে চারটি বিদ্যালয় হতে ৬৪ জন শিশু অশগ্রহণ করে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com