অফিস রিপোর্টার।।
দরিদ্র কৃষকের প্রণোদনার নগদ অর্থ ও সার, বীজ নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে এক তালিকায় একই কৃষকের চারবারও নাম রয়েছে। যদিও কৃষক একবার প্রণোদনা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সূত্রমতে,প্রতি বছরের মতো এবারও কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলায় ৭দফায় প্রায় ২৯ কোটি টাকার কৃষি প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে নগদ অর্থ, বিভিন্ন প্রকার বীজ ও সার বিতরণের কার্যক্রম ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তৈরি করা তালিকা এবং মাস্টাররোলের ভিত্তিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা এই বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। কিছু কর্মকর্তা দরিদ্র কৃষকদের এসব সরকারি সহায়তার অর্থ, বীজ, সার আত্মসাত করেন। দুর্নীতির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ পরিচালক বরাবরে।
লিখিত অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম কৌশলে একই কৃষক-কিষানির নাম, ঠিকানা, ছবি এবং অন্যান্য তথ্য একই তালিকায় ৩/৪ বার ব্যবহার করেছেন। আবার তাঁর তালিকাভুক্ত অনেক কৃষক-কৃষানিই কোনো প্রণোদনাই পাননি বলে জানা গেছে। উফশী জাতের বোরো ধানের অগ্রাধিকার তালিকায় উপসহকারী কৃষি অফিসার আবুল কালাম জনৈক সুখিয়ার নাম, ঠিকানা, ছবি এবং অন্যান্য তথ্য তালিকার ৮৩৯, ৮৫১, ৮৬১ এবং ৮৭২ ক্রমিকে ব্যবহার করেছেন। তার গ্রাম খোশকান্দি। কেহিনূর বেগম। গ্রাম বাঁশখোলা। তালিকার ৮৫,১০৫,১২১-এ তার নাম রয়েছে। একই গ্রামের মাহবুব আলম। তার নাম ৫.২৩ ও ২৯নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। উপসহকারীর একটি তালিকায় এমন নাম রয়েছে ৫৭টি। আবুল কালাম উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সংগঠন ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক।
সুখিয়া বলেন, তিনি একবারই মাত্র বীজ, সার পেয়েছেন। চারবার পাননি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন,ভুলে এক নাম একাধিকবার তালিকায় উঠতে পারে। কৃষকের ৫০০-১০০০টাকার মালামাল নিয়ে আমরা কি করবো?
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন,আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা কৃষি অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে আমরা কোন ছাড় দিবো না।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com